হত্যা মামলায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার
Published: 8th, March 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও আব্দুর রাজ্জাক রুবেল হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি তানিয়া সুলতানা বিথিকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিথি কুমিল্লার উত্তর জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য ও দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর মাস্টার বাড়ির মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, বিথির বিরুদ্ধে গত ৪ আগস্ট আন্দোলনে নিহত আব্দুর রাজ্জাক রুবেল ও ৫ আগস্ট আমিনুল ইসলাম সাব্বির হত্যাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যামে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার পতনের পর থেকে বিথি আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার দুপুরে থানার এসআই মাজারুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তিনি দেবিদ্বারের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের সমর্থক।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, তানিয়া সুলতানা বিথিকে তাঁর নিজ বাড়িতে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলাসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় ছয়টি মামলা রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক