সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লার জলমহাল লুট ঠেকাতে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের দত্তগ্রাম ও আনোয়ারপুরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ফাইন্দা বিল জলমহালে অবৈধভাবে মাছ ধরার প্রচেষ্টাকালে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। 
পুলিশ জানায়, ওই বিলটিতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়-সাত হাজার মানুষ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পলো, বেড় জাল, কোচা, বড় হাতর, উড়াল জাল ও ঝাপ জালসহ জলমহালের পাড়ে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) যৌথ বাহিনী ও দিরাই থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত জনতাকে বুঝিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠান। এই জলমহালটির মোট আয়তন ১৯২ একর এবং সেখানে থেকে প্রতি বছর ৩৫-৪০ লাখ টাকার মাছ আহরণ করা হয়।
এই দুই উপজেলায় গেল ১০ দিনে লুটপাট হয়েছে ১১ বিল। হালুয়া খাটুয়া, দিরাই চাতল, শাল্লার সত্তুয়া নদী জলমহালসহ বিলগুলো লুট করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ইজারাকৃত বিল দাবি করে বেআইনি লুটপাট চালায় এলাকাবাসী। ১১ বিল থেকে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে বলে দাবি ইজারাদার পক্ষের।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল টপ ট জলমহ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ