যৌথবাহিনীর অভিযানে টাঙ্গাইলের সাবেক এমপির বাসা পাগলমুক্ত
Published: 9th, March 2025 GMT
টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাড়ি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের ছোট কালিবাড়ীর এলাকার বাসা থেকে পাগলদের বের করে সন্তোষ বড়ইতলায় এলাকায় পূর্বের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯ টা হতে সদর উপজেলা সহকারী কমিমনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে শনিবার সকালে ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন। এতে জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে নড়চড়ে বসে প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানান, এভাবে একজনের বাড়ি দখল করা কোন কাম্য নয়। আমরা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করি। একই সাথে আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সকাল থেকেই এসব পাগলদের খাবার দেয়া হয়নি। তারা সারাদিন না খেয়েই দিন যাপন করেছেন।
জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান বলেন, “আমাদের কাছে প্রথমে মিস্টি নামের এক মেয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিলো। সেই টাকা না দেয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে। আমি এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করবো।”
তিনি আরো বলেন, “বাড়িটি আমার নামে, আমার স্বামীর নামে নয়। আমি এ ঘটনায় সঠিক বিচারের দাবি করছি।”
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফ বলেন, “১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীনদের উদ্ধার করা হয়। সমাজসেবাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।”
ঢাকা/কাওছার/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’