র্যাংগস ই-মার্টের ঈদ শপিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন
Published: 9th, March 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুরু হয়েছে র্যাংগস ই-মার্ট-এর ঈদ ক্যাম্পেইন “ঈদের খুশি Extremely বেশি”, যেখানে গ্রাহকদের জন্য রয়েছে বিশেষ ধরনের অনেক অফার।
রবিবার (৯ মার্চ) র্যাংগস ই-মার্টের গুলশান-২ শোরুমে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী-ডিভিশনাল ডিরেক্টর, ইরাজ এইচ.
ক্যাম্পেইন সম্পর্কে ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী-ডিভিশনাল ডিরেক্টর বলেন, “ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দকে আরও বাড়াতে র্যাংগস ই-মার্ট গ্রাহকদের দিচ্ছে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ডিল ও অফারস। এর লক্ষ্য হলো বিভিন্ন সারপ্রাইজ ও পুরষ্কার দিয়ে গ্রাহকদের ঈদ উদযাপনকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলা।”
র্যাংগস ই-মার্ট-এর ঈদ ক্যাম্পেইনের আওতায়, র্যাংগস ই-মার্ট ইলেক্ট্রনিক পণ্য ক্রয়ে থাকছে ফ্রি গিফট, সর্বোচ্চ ৫৩% পর্যন্ত মূল্য ছাড়, ২৪ মাস পর্যন্ত ফ্রি ইএমআই সুবিধা, এক্সচেঞ্জ অফার এছাড়া LG OLED TV- যার বাজার মূল্য ৪,৪৯,০০০ টাকা, এটি জেতার আকর্ষণীয় সুযোগ। এর সঙ্গে ব্যাংক কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করলে থাকছে অতিরিক্ত ছাড় সুবিধা। তার মধ্যে, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি কার্ডে ১০%, লংকাবাংলা ব্যাাংকের কার্ডে ১০% ও ব্যাংক এশিয়ার কার্ডে ৭% পর্যন্ত ছাড় (শর্ত প্রযোজ্য)।
ক্রেতারা আরো পাবেন বিনামূল্যে ডেলিভারি ও ইনস্টলেশন সুবিধা। অনলাইন কেনাকাটা ও ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে rangsemart.com.bd ভিজিট করে অথবা ১৬৬০৭ হটলাইন নম্বরে।
ঢাকা/হাসান/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য ম প ইন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে বইমেলায় বিক্রি কম, এখনো আশায় আছেন প্রকাশকেরা
রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলার প্রথম তিন দিনে লোকজনের ভিড় থাকলেও বেচাকেনা তেমন হয়নি। এতে অনেক প্রকাশকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে আগামী কয়েক দিনে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন প্রকাশকেরা ও আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার রাজশাহী জেলা কালেক্টরেট মাঠে ৯ দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে এবং রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ মেলা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৭০টি বেসরকারি প্রকাশনাসহ মোট ৮১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে মেলা চলছে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়।
উদ্বোধনের আগের দিন বৃষ্টিতে মেলার মাঠ কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। সেই কর্দমাক্ত পরিবেশেই মেলার উদ্বোধন হয়। দর্শনার্থীদের ভোগান্তি কমাতে পরে প্রতিটি স্টলের সামনে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বিক্রির খরা কাটেনি বলে জানালেন বিক্রেতারা।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন অংশে তখনো পানি জমে আছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত মঞ্চের সামনের প্যান্ডেলেও কাদা। সেখানেই কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা চলছিল, তবে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। স্টলের সামনে ইটের সলিংয়ের তৈরি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন অনেকে। অনেকে বই দেখছেন।
সূর্যোদয় প্রকাশনীর বিক্রেতা রিপন আলী বলেন, প্রথম দিন তো কাদাপানির মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তখনো মানুষ ছিলেন। এখন ইট বিছানোর পর আরও বেশি মানুষ আসছেন, ভিড়ও করছেন, কিন্তু বই কিনছেন খুব কম।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে কাদার ওপর চেয়ার পেতে বসে থাকতে দেখা গেল বিক্রয়কর্মী ও চিত্রশিল্পী অর্ণব পাল সন্তুকে। তিনি বলেন, মানুষ আসছেন, ঘুরে দেখছেন, কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। মেলার ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হতে পারত। আরেক বিক্রেতা আবদুল্লাহ হীল বাকি জানালেন, এমনও স্টল আছে, যেখানে সারা দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বইও বিক্রি হচ্ছে না।
তবে হতাশার ভিড়ে আশার কথাও শোনালেন কেউ কেউ। চট্টগ্রাম থেকে আসা নন্দন বইঘর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সুব্রত কান্তি চৌধুরী বলেন, বেচাবিক্রি আজ না হোক কাল হবে। মানুষ যে মেলায় এসে বই হাতে নিয়ে দেখছেন, এটাই বড় পাওয়া। এতে তাঁদের মধ্যে বই কেনার আগ্রহ তৈরি হবে।
মেলায় আসা পাঠকদের মধ্যে অবশ্য ভিন্ন চিত্র। দুই সন্তানের জন্য শিশুতোষ বই কিনে এক অভিভাবক বলেন, বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আনন্দটাই অন্য রকম।
মেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপ্যাধ্যায়ের বই কিনেছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, মেলায় একসঙ্গে অনেক বই পাওয়া যায়, যা বই কেনার জন্য দারুণ সুযোগ।