জিম্বাবুয়ে আসছে, নাহিদের পিএসএলে খেলতে যাওয়া কি আটকে যাচ্ছে
Published: 9th, March 2025 GMT
প্রথমবার বিদেশি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ডাক পেয়েছেন। সেটিও আবার পিএসএলে পেশোয়ার জালমির হয়ে। যে দলে বাবর আজম, মোহাম্মদ হারিসদের সঙ্গে খেলার কথা বাংলাদেশ ফাস্ট বোলার নাহিদ রানার। তবে এই টুর্নামেন্টে নাহিদের খেলা নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
কারণ পিএসএল চলার সময়ই বাংলাদেশে দুটি টেস্ট খেলতে আসবে জিম্বাবুয়ে। আর নাহিদ রানা তো বাংলাদেশ টেস্ট দলের তুরুপের তাস।
জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশে আসবে আগামী ১৫ এপ্রিল। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি হবে শুরু হবে ২০ এপ্রিল। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৮ এপ্রিল, পাঁচ দিনে গড়ালে যেটি শেষ হওয়ার কথা ২ মে। অন্যদিকে পিএসএল শুরু ১১ এপ্রিল। নাহিদ রানার দল পেশোয়ার জালমি মাঠে নামবে একদিন পর, ১২ এপ্রিল।
২০ এপ্রিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে পেশোয়ারের ম্যাচ আছে ৩টি, যার সর্বশেষটি ১৯ এপ্রিল। এই হিসাব করার হয়তো প্রয়োজন নেই। টেস্ট ক্রিকেট তো আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নয় যে, নাহিদ রান টানা দুই দিন দুই দেশে ম্যাচ খেলবেন।
রানা ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারে। বেশ জোরের সঙ্গে। এপ্রিলে এখানে (পাকিস্তান) যখন খেলা হবে, তখন এই ধরনের বোলারের প্রয়োজন হবে।নাহিদ রানাকে নেওয়ার পর পেশোয়ার জালমির পরিচালক মোহাম্মদ আকরামটেস্ট খেলতে শারীরিকভাবে পুরোপুরি ফিট থাকার পাশাপাশি মানসিক প্রস্তুতিটাও রাখতে হয়। তাই ১৯ তারিখ পাকিস্তানে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশে পরের দিন এসে টেস্ট খেলার প্রশ্নই ওঠে না। তবে ১৯ তারিখ এই ম্যাচটির আগে পেশোয়ারের ম্যাচ আছে ১৪ এপ্রিল। সে ক্ষেত্রে এই ম্যাচ খেলার পর টেস্ট দলে যোগ দেওয়ার সময় পাবেন নাহিদ রানা। তবে নাহিদকে নিয়ে কি বিসিবি এই ঝুঁকিটা নেবে? হয়তো না।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজ চলার সময় পেশোয়ার ম্যাচ খেলবে আরও ৪টি। মানে এই সিরিজের দলে থাকা মানে পেশোয়ারের হয়ে কমপক্ষে ৭টি ম্যাচ মিস করবেন নাহিদ। যা তাঁকে নিয়ে করা পেশোয়ারের পরিকল্পনাকে এলোমেলো করে দিতে পারে।
আরও পড়ুনঅজুহাত দেওয়া বন্ধ করলে একদিন না একদিন সফল হবেনই৭ ঘণ্টা আগেতা নাহিদ রানাকে নিয়ে একটু বিশেষ পরিকল্পনা করেই দলে নিয়েছিল পেশোয়ার। সেটি অনুমেয়ও, নাহিদ রানার বলের গতিকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল দলটি। ড্রাফটে রানাকে নেওয়ার পর পেশোয়ার জালমির পরিচালক মোহাম্মদ আকরামের কথাতেই যা স্পষ্ট ছিল, ‘রানা ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারে। বেশ জোরের সঙ্গে। এপ্রিলে এখানে (পাকিস্তান) যখন খেলা হবে, তখন এই ধরনের বোলারের প্রয়োজন হবে। গত দুই আসরে আমাদের পেস আক্রমণে কিছুটা ঘাটতি ছিল। চেষ্টা ছিল, সেই ঘাটতি পূরণ করার। এক্সপ্রেস গতি চেয়েছিলাম, সে কারণেই নাহিদ রানাকে নেওয়া।’
পিএসএলে খেলা হবে নাহিদের?.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প এসএল
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে বইমেলায় বিক্রি কম, এখনো আশায় আছেন প্রকাশকেরা
রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলার প্রথম তিন দিনে লোকজনের ভিড় থাকলেও বেচাকেনা তেমন হয়নি। এতে অনেক প্রকাশকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে আগামী কয়েক দিনে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন প্রকাশকেরা ও আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার রাজশাহী জেলা কালেক্টরেট মাঠে ৯ দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে এবং রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ মেলা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৭০টি বেসরকারি প্রকাশনাসহ মোট ৮১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে মেলা চলছে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়।
উদ্বোধনের আগের দিন বৃষ্টিতে মেলার মাঠ কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। সেই কর্দমাক্ত পরিবেশেই মেলার উদ্বোধন হয়। দর্শনার্থীদের ভোগান্তি কমাতে পরে প্রতিটি স্টলের সামনে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বিক্রির খরা কাটেনি বলে জানালেন বিক্রেতারা।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন অংশে তখনো পানি জমে আছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত মঞ্চের সামনের প্যান্ডেলেও কাদা। সেখানেই কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা চলছিল, তবে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। স্টলের সামনে ইটের সলিংয়ের তৈরি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন অনেকে। অনেকে বই দেখছেন।
সূর্যোদয় প্রকাশনীর বিক্রেতা রিপন আলী বলেন, প্রথম দিন তো কাদাপানির মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তখনো মানুষ ছিলেন। এখন ইট বিছানোর পর আরও বেশি মানুষ আসছেন, ভিড়ও করছেন, কিন্তু বই কিনছেন খুব কম।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে কাদার ওপর চেয়ার পেতে বসে থাকতে দেখা গেল বিক্রয়কর্মী ও চিত্রশিল্পী অর্ণব পাল সন্তুকে। তিনি বলেন, মানুষ আসছেন, ঘুরে দেখছেন, কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। মেলার ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হতে পারত। আরেক বিক্রেতা আবদুল্লাহ হীল বাকি জানালেন, এমনও স্টল আছে, যেখানে সারা দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বইও বিক্রি হচ্ছে না।
তবে হতাশার ভিড়ে আশার কথাও শোনালেন কেউ কেউ। চট্টগ্রাম থেকে আসা নন্দন বইঘর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সুব্রত কান্তি চৌধুরী বলেন, বেচাবিক্রি আজ না হোক কাল হবে। মানুষ যে মেলায় এসে বই হাতে নিয়ে দেখছেন, এটাই বড় পাওয়া। এতে তাঁদের মধ্যে বই কেনার আগ্রহ তৈরি হবে।
মেলায় আসা পাঠকদের মধ্যে অবশ্য ভিন্ন চিত্র। দুই সন্তানের জন্য শিশুতোষ বই কিনে এক অভিভাবক বলেন, বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আনন্দটাই অন্য রকম।
মেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপ্যাধ্যায়ের বই কিনেছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, মেলায় একসঙ্গে অনেক বই পাওয়া যায়, যা বই কেনার জন্য দারুণ সুযোগ।