ধর্ষণ মামলায় জামিন পাওয়ার অধিকার রাখা হবে না: আইন উপদেষ্টা
Published: 9th, March 2025 GMT
ধর্ষণ মামলায় জামিন পাওয়ার অধিকার রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ধর্ষণ মামলায় যদি ৯০ দিনের মধ্যে বিচার না হয়, তাহলে এই মামলায় কাউকে জামিন দেওয়া যাবে না। আগে ছিল ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার না হলে জামিন দেওয়া যেত। এখন থেকে ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে কোনো জামিন দেওয়া হবে না।
আসিফ নজরুল বলেন, ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে যদি কোনো রকমের গাফলতি থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল অ্যাকশন নেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন সংযোজন করা হবে। একই সঙ্গে ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে ডিএনএ সার্টিফিকেট লাগে, কিন্তু আমাদের দেশের সব জায়গায় ডিএনএ সার্টিফিকেট দেওয়ার সুবিধা নেই। এ জন্য ধর্ষণ মামলার বিচার অনেক দেরি হয়। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে একটা সংশোধনী আনব যে, উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করে যে শুধু মেডিকেল সার্টিফিকেটই মামলার বিচার ও তদন্ত কার্যক্রম চালানো সম্ভব তাহলে সে রকম ব্যবস্থা নিতে পারবে।
তিনি বলেন, যেসব স্থানে আসামিরা হাতেনাতে ধরা খাবে, সেখানে ডিএনএ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য সময়ক্ষেপণ রোধে এই পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি। সরকার অতিদ্রুত জেলা পর্যায় ডিএনএ টেস্ট নেওয়ার জন্য ল্যাবরেটরি তৈরি করবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এনএ
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।