সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ২ ফ্ল্যাট, ৩১৫ একর জমি জব্দ
Published: 9th, March 2025 GMT
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী রুকমীলা জামান ও পরিবারের সদস্যদের নামে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় থাকা দুইটি ফ্ল্যাট ও ৩১৫.৯৪ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব ফ্ল্যাট ও জমির মোট দলিল মূল্য ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ১৮৮ টাকা। যদিও বাস্তবে এর মূল্য আরও বহুগুণ বেশি হবে বলে জানা গেছে।
আজ রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব। এদিন সংস্থাটির উপপরিচালক মো.
আবেদন সূত্রে জানা যায়, জব্দ হওয়া ফ্ল্যাট দুটি আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের পক্ষে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাইফুজ্জামানের স্ত্রী রুকমীলা জামানের নামে। এ ফ্ল্যাট দুটি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ও কোতয়ালি থানাধীন এলাকায় অবস্থিত। এছাড়াও জব্দ হওয়া ৩১৫.৯৪ একর জমি চট্টগ্রাম সদর ও আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতি ও অনিয়মের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনুসন্ধান চলাকালে তিনি, তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তিসমূহ অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যা করতে পারলে ওই অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। ফলে, আদালত কর্তৃক উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তিসমূহ জব্দের আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।
গত ৫ মার্চ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৩৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জমা রয়েছে দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নামে থাকা দেশ-বিদেশের ৫৮০ বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/জমিসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ৯টি সম্পত্তি রয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’