সারাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে বক্তারা দেশে সংঘটিত বিভিন্ন নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচারের দাবি জানান।

আজ রোববার দুপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিক হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ কর’, ‘নারীর নিরাপত্তা দেশের নিরাপত্তা’, ‘নারী নির্যাতন বন্ধ কর’, ‘ঘরে ও বাইরে নারীর জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’- ইত্যাদি স্লোগানসম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন। 

সমাবেশে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি শিক্ষক নাজনীন নাহার ইসলাম বলেন, ‘একজন শিশু, যুবতী, মধ্যবয়স্কসহ কোনো নারী দেশে আজ নিরাপদ না। আইনের ফাঁকফোকরের কারণে ধর্ষকরা বেঁচে যাচ্ছে। এটি হতে দেওয়া যাবে না।’

সমাবেশে আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রাকিবা নবী বলেন, ‘দেশে নারী নির্যাতন ও নারীদের অধিকাররোধে আইন রয়েছে। কিন্তু এই আইনের অধিকারগুলো আমরা আদায় করতে পারছি না। দেশের নারী পুরুষ সবাইকে বিচার ও অধিকার আদায়ে এগিয়ে আসতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে নারীদের সর্বক্ষেত্রে নিরপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটিই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লাইলুন নাহার এ সমাবেশের সঞ্চালনা করেন।

এছাড়াও চলমান হেনস্তা, ধর্ষণ ও হত্যার বিচার দাবিতে এবং ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি কার্যকরের জন্য মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের নারী শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে এই প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলমান রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ