পাকিস্তানে তালেবানের হামলায় ৪ সেনা নিহত
Published: 10th, March 2025 GMT
পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে স্থানীয় তালেবানের হামলায় দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর অন্তত চার সেনা নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার (৯ মার্চ) প্রদেশের একটি নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকিতে তালেবানের অতর্কিত হামলায় সেনাদের প্রাণহাণি এই ঘটনা ঘটেছে। খবর আরব নিউজের।
হামলার ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায়, দুই দেশের সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতা বেড়েছে।
আরো পড়ুন:
নির্ধারিত সূচির বাইরে বাংলাদেশে খেলতে আসবে পাকিস্তান
গাভাস্কারের মন্তব্য সম্পূর্ণ ফালতু
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, রবিবার সকালের দিকে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত গোষ্ঠী নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, হামলায় আধা-সামরিক বাহিনীর অন্তত চার সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো সাতজন।
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানে সহিংসতা বেড়েছে। পাকিস্তানের নিষিদ্ধঘোষিত গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক সক্রিয়। পাকিস্তানি তালেবান নামে পরিচিত টিটিপি দেশটির বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করছে।
পাকিস্তান সরকার দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ করে আসছে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসকরা সীমান্তের ওপারে টিটিপি যোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছে। তবে তালেবান সরকার জোর দিয়ে বলেছে, তারা কাউকে কোনো দেশে সহিংসতার জন্য আফগান মাটি ব্যবহার করতে দেয় না।
গত সপ্তাহে, একই প্রদেশের বান্নু জেলায় একটি সেনা কম্পাউন্ডে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ বেসামরিক নাগরিক এবং পাঁচ সেনা নিহত হয়।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক বিশ্লেষণকারী গ্রুপ সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের মতে, গত বছরটি ছিল পাকিস্তানের জন্য এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বছর, যেখানে হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’