বিয়ে নিয়ে বাবার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল: মিম মানতাসা
Published: 10th, March 2025 GMT
মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী মিম মানতাসা। চার বছর হতে চলেছে তাঁর দাম্পত্য জীবন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে বিয়ে ও কাজ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন এই লাক্স তারকা। মিম জানান, তাঁর বিয়ে পুরোপুরি বাবার ইচ্ছাতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা চেয়েছিলেন আমি বিয়ে করি। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করেছি। তাই দ্রুত বিয়ে করেছি।’
বিয়ের পর পড়াশোনা ও মিডিয়ার কাজ একসঙ্গে সামলানো কঠিন হলেও সবসময় পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানান মিম। স্বামীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আসলে মানুষটা (স্বামী) অনেক ভালো। তা না হলে দীর্ঘ ৪ বছর একসঙ্গে থাকা কঠিন হতো। আমি মনে করি, আমার বাবা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটিই সঠিক ছিল।’
শ্বশুরবাড়ি ও নিজের পরিবার থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পান মিম। তাঁর কথায়, ‘আমার এখন দুইটা পরিবার। সবাই আমাকে সমানভাবে সহযোগিতা করে। কাউকে কম-বেশি ক্রেডিট দেওয়ার উপায় নেই।’
২০১৮ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে শোবিজ দুনিয়ায় পা রাখেন মিম মানতাসা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘বাজিকর’, ‘সাদাসিধে প্রেম’, ‘পিতৃছায়া’, ‘সময়ের গল্প’, ‘লায়লা দুপুর’ ইত্যাদি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ম ম নত স
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা