পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাতির চেষ্টার সময় মাকসুদ মজুমদার (৩৯) ও মনির হোসেন (৩৭) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার গভীর রাতে উপজেলার নবীগঞ্জ ইউনিয়নের নবীগঞ্জ গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটক মাকসুদ মজুমদার (৩৯) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও সরকারি মোজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সাবেক এজিএস। অপর আটক মনির হোসেন (৩৭) নীলগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মাকসুদ ওই ইউনিয়নের নীলগঞ্জ ও মনির হোসেন সুলতানগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত একটার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাতদল নবীগঞ্জ গ্রামের সরকার বাড়িতে প্রবেশ করে। ওই বাড়িতে ৭ থেকে ৮টি বসতঘর রয়েছে। মাকসুদ ও মনির নীল কান্তি সরকারের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। বিষয়টি টের পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে কলাপাড়া থানার ওসি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই ঘর থেকে মাকসুদ ও মনিরকে আটক করে। এ সময় পুলিশের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতদলের অপর সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।   

সরকার বাড়ির বাসিন্দা মিনতী রানী সরকারের ভাষ্য, ঘটনার রাতে ডাকাতদের মারধরে তাদের বাড়ির পলাশ ও দুলাল সরকার আহত হয়। ডাকাতরা ঘরের আলমিরা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও ৫৭ হাজার নগদ টাকা লুটে করে নেয়। 

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ঢালী রুহুল আমিন অভি সমকালকে বলেন, এ ধরনের দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে তাদের পক্ষ থেকে আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, আটক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি জানান, বিভিন্ন চুরি ডাকাতির ঘটনায় আগে থেকেই পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন মাকসুদ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক ও মন র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে আবারও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক ঘণ্টায় আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এসব হামলায় ১০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে আরও এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। হাইফা, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণ ও বিকট শব্দ শোনা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সারা দেশে ১০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ