বিসিবি সভাপতির সঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
Published: 10th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার বিসিবি’তে আসেন মিলার। সেখানে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মিলারকে স্টেডিয়াম ঘুরিয়ে দেখান এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি তুলে দেন।
এসময় মাইকেল মিলার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশসমূহ যেমন- জার্মানি, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, পর্তুগাল, সুইডেনে ক্রিকেট এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে অবস্থিত ইউরোপিয়ান অ্যাম্বাসির উদ্যোগে ‘ইইউ গো অন’ নামের একটি স্পোর্টস ইভেন্টের আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে।
ফেস্টিভ্যাল অব ইয়ূথ নামের ওই ইভেন্টে ৩০ সেকেন্ডের ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, টেনিস ও ইয়োগার ভিডিও পোস্ট করে পুরস্কারের পাশাপাশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ রাখা হয়েছে। ভিডিও ‘ইইউ গেম অন’ এর মাধ্যমে ১৩ মার্চের মধ্যে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউর প য় ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’