ধর্ষণ মামলার আসামির আইনজীবী ও ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, আহত ৮
Published: 10th, March 2025 GMT
জামালপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ও ছাত্র-জনতার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে জামালপুর জেলা আদালত চত্বরে আইনজীবী সমিতির সামনে এ ঘটনা ঘটে৷
জানা গেছে, সম্প্রতি ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে দুইটি ধর্ষণের বিচারের দাবিতে শহরের দয়াময়ী চত্বরে সোমবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ছাত্র-জনতা। মানববন্ধন শেষে ওই ধর্ষণ মামলা দুটির আসামির পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে আদালত প্রাঙ্গণে যায় তারা।
এসময় অভিযুক্ত এক আসামির বয়স কম দেখানোর বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে ছাত্র-জনতার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সিনিয়র আইনজীবী খলিলুর রহমান, আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল ও শাহজাহান আলী ও ছাত্রসহ দুই পক্ষের ৮ জন আহত হন। তারা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ছাত্র নেতারা বলেন, একটি ধর্ষণ মামলার আসামির পক্ষে দাঁড়ানো মানে ভিকটিমের প্রতি অবিচার করা। আমরা এর প্রতিবাদ করতেই আদালতে এসেছিলাম।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিসাত রেজুয়ান বাবু বলেন, আদালতে সবার ন্যায়বিচার চাওয়ার অধিকার রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিন চাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনাকে আমার তীব্র নিন্দা জানাই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম রধর আইনজ ব আহত ছ ত র জনত র আইনজ ব স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেনর এক কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে বন্দরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শিক্ষক-শিক্ষকারা।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবারে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।
মানববন্ধরে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের প্রধান এ এইচ এম শামীম আহমেদ, মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম রুবেল, শিক্ষক হাসান কবির, আনোয়ার হোসেন, আরিফ হোসেন, মাহবুব আলম, শামীমা আক্তার বর্ণা, রোকসানা আক্তার প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে ৬৫ হাজার ৭শ’ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। যা দেশেরন ৫০ শতাংশ শিক্ষার চাহিদা পূরণ করে থাকে। আর এ সকল স্কুলে প্রায় ১ কোটির অধিক শিশু শিক্ষার্থী লেখা পড়া করে। আর ৫ম শ্রেণীতে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকারি বৃত্তিতে অংশ নিয়েছে।
কিন্তু গত ১৭ জুলাই বর্তমান সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বৃত্তিতে অংশ গ্রহণ বাতিল করে। যার কারণে ১ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পতিত হয়েছে।
বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ১৭ অনুচ্ছেদে দেশের সকল শিশুদের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিশুদের বুত্তিতে অংশগ্রহণ করতে না দেয় মানে সংবিধানের ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। যাতে শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।