আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দুই যুগ পর বিএনপির কর্মী সমাবেশ হয়েছে। সোমবার জেলা বিএনপির উদ্যোগে চিলমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ আয়োজন করা হয়। 

সমাবেশ ঘিরে বিএনপি এবং এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে সমবেত হন তারা।

রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব আলহাজ সোহেল হোসেন কায়কোবাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান হাসিব প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার জন্য কাজ করতে হবে। বিভক্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটারদের মন জয় করতে হবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে যারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত, তারাই যেন চিলমারী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পান। সমাবেশে সেই আবেদন জানান অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ