দুই যুগ পর আ. লীগের দুর্গে বিএনপির সমাবেশ
Published: 10th, March 2025 GMT
আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দুই যুগ পর বিএনপির কর্মী সমাবেশ হয়েছে। সোমবার জেলা বিএনপির উদ্যোগে চিলমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশ ঘিরে বিএনপি এবং এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে সমবেত হন তারা।
রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব আলহাজ সোহেল হোসেন কায়কোবাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান হাসিব প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার জন্য কাজ করতে হবে। বিভক্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটারদের মন জয় করতে হবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে যারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত, তারাই যেন চিলমারী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পান। সমাবেশে সেই আবেদন জানান অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।