নারায়ণগঞ্জে এনসিডি ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটালাইজেশন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
Published: 10th, March 2025 GMT
ব্র্যাক ৩৬০ ডিগ্রি এনসিডি কেয়ার প্রজেক্টের আওতায় নারায়ণগঞ্জে এনসিডি ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটালাইজেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ বা অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) ব্যবস্থাপনা এবং এনসিডি কর্নারের ডিজিটালাইজেশন বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা, ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন বৃদ্ধি এবং স্পাইস (ঝচওঈঊ) অ্যাপের মাধ্যমে রোগীদের পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। প্রশিক্ষণে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা.
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলার সকল উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগন, মেডিকেল অফিসার, নার্স, পরিসংখ্যানবিদ, ক্লার্ক,স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ অনেকে। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ডা. মাহমুদুল হাসান, ডা. রেজওয়ানা বিশ্বাস, টেলিকাউন্সেলর, মো. তৌহিদুল ইসলাম, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম লিড, মেডট্রোনিক ল্যাবস।
সুমন চৌধুরী, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক।ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসুচির সোনারগাঁও ও বন্দর উপজেলার এলাকা ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, এবং পবিত্র কুমার দেবনাথসহ হেল্থ এডুকেটর, কর্মসুচি সংগঠকগণ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব যবস থ এনস ড
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।