হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) কৃষি প্রকৌশল শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ হাবিপ্রবির ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের আয়োজনে ‘এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার অপার’ শীর্ষক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য অধ্যাপক এএসএম গোলাম হাফিজ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. এনামউল্যা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির।

ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস. এম. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (এআইই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন সরকার। অনুষদ ও বিভাগের বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন এআইই বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনুর কবির। 

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পিএসসির সদস্য অধ্যাপক এএসএম গোলাম হাফিজ বলেন, “প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে নিশ্চিত করা দরকার,যেন কেউ পিছিয়ে না পড়ে। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের জন্য যে সিলেবাস রয়েছে, ডিগ্রি ভিন্ন হলেও স্মার্ট এগ্রিকালচারের জন্য তার প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে হবে। এজন্য অন্য যে প্রতিষ্ঠানে এসব কোর্স রয়েছে, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সিলেবাস প্রদান করা জরুরি। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের একটা জায়গায় বৈষম্য হচ্ছে। সেটা অনুভব করতে পেরেই পিএসসির সদস্য মহোদয় নিজের উদ্যোগে এখানে এসেছেন। উনি চাওয়া পূরণ হলেই ফ্যাকাল্টির গ্র্যাজুয়েটদের জন্য অনেক উপকার হবে। এজন্য আমি উনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।”

তিনি বলেন, “আমরা যত যাই করি, সবকিছু নির্ভর করবে গ্র্যাজুয়েটদের মেধা ও দক্ষতার উপর। উনারা হয়তো নিয়ম-কানুনগুলো ঠিক করে দেবেন। কিন্তু চাকরির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য মেধার কোন বিকল্প নেই।”

ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ব প রব র জন য উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ