কেমোথেরাপির সময় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে
Published: 10th, March 2025 GMT
যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তাদের সাধারণত ওজন কমে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে, শরীরের হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে বা পেট খারাপ হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া তাদের মুখের ভেতরে ঘা বা মিওকোসাইটিস বা ড্রাই মাউথ বা গিলতে সমস্যা, রুচি কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের খাবারগুলো হবে সহজে হজমযোগ্য। প্রয়োজনে শক্ত খাবার এড়িয়ে তারা নরম খাবার খাবেন। তারা একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খেতে না পারলে তাদের অবশ্যই সারাদিনে অল্প অল্প করে বারবার খাবারটি গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে এবং খাবারের তালিকায় অবশ্যই চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনস, মিনারেলস কোনোটা যেন মিস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে তারা লাল আটার রুটি রাখতে পারেন বা লাল চালের ভাত রাখতে পারেন। প্রোটিনের জন্য মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, দই, ডাল যেন মিস না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে সারা দিনে দুই থেকে তিনটি ডিম খেতে হতে পারে। অবশ্যই খাবারের তালিকায় ফল রাখতে হবে। এখন যেহেতু শীতকাল, তাদের যেন ডিহাইড্রেশন না হয়ে যায় সেজন্য তাদের প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। পানি, সুপ বা জুস গ্রহণ করতে হবে। এ সময় অনেকের ইমিউনিটি কমে যায়। তাই সারাদিনের খাবার অবশ্যই ওয়েল প্ল্যানড এবং ওয়েল ব্যালান্সড হতে হবে। খাবার অবশ্যই হাইজিন মেইনটেইন করতে হবে। রান্না করা খাবার দুই ঘণ্টার মধ্যেই ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে এবং বারবার গরম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তারা অবশ্যই বাসি খাবার খাবেন না। কোনো জিনিস ধোয়ার জন্য তারা অবশ্যই ফুটন্ত পানি ব্যবহার করবেন এবং দিনে ৫ থেকে ৬ বার বা ৭ থেকে ৮ বার একটু একটু করে তাদের খাবার গ্রহণ করতে হবে, শারীরিক কন্ডিশন অনুযায়ী। তাদের অবশ্যই প্রসেসড ফুড, লবণাক্ত খাবার, চিনিযুক্ত খাবার, ট্রান্সফ্যাট যুক্ত খাবার, বাইরের কেনা খাবার, রাস্তার কেনা খাবার, অর্ধসেদ্ধ কোনো খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে রোগীর ব্লাড প্যারামিটারের ওপর নির্ভর করে যেকোনো খাবারের তালিকা পরিবর্তন হতে পারে। সেটি অবশ্যই ব্যক্তিবিশেষভেদে ভিন্ন হবে।
[পুষ্টিবিদ, এভারকয়ার হাসপাতাল, ঢাকা]
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কারা বেশি কাঁদেন?
কান্না একটি এমন একটি স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর মানসিক প্রক্রিয়া যা শরীরকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘‘যারা বেশি কাঁদেন তাদের মধ্যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এর কারণ কখনও মানসিক কখনও শারীরিক আবার কখনও পারিপার্শ্বিক বিষয়।’’ বেশি কান্না করা মানুষের আচরণে বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
উচ্চ মানসিক সংবেদনশীলতা
এই ব্যক্তিরা সাধারণত অন্যের আবেগ ও অনুভূতি খুব সহজেই বুঝতে পারেন এবং গভীরভাবে অনুভব করেন। সামান্য ঘটনায় তারা বেশি প্রভাবিত হন।
আরো পড়ুন:
যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়
বিশ্বে কারা বেশি পড়েন, কোন বই বেশি পড়েন?
সহানুভূতির প্রবণতা
যাদের মধ্যে সহানুভূতির মাত্রা বেশি, তারা প্রায়শই বেশি কাঁদেন। তারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যের কষ্টেও সহজে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
মানসিক চাপ বা বিষণ্নতা
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্নতার কারণে মানুষ বেশি কাঁদতে পারে। কান্না এক্ষেত্রে জমে থাকা মানসিক চাপ কমানোর একটি উপায় হিসেবে কাজ করে।
হরমোনের প্রভাব
হরমোনের তারতম্য, বিশেষ করে নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে, কান্নার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোনের মাত্রা কান্নার সাথে সম্পর্কিত।
অতীত অভিজ্ঞতা
অতীতের কোনো দুঃখজনক বা আঘাতমূলক ঘটনা মানুষের মধ্যে সহজে কেঁদে ফেলার প্রবণতা তৈরি করতে পারে।
যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কান্না
কিছু মানুষের জন্য কান্না হল নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করার একটি উপায়, কারণ তারা হয়তো কথা বলে তা প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।
উল্লেখ্য, যদি অতিরিক্ত কান্না দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে বা বিষণ্নতার লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়, তাহলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ঢাকা/লিপি