Risingbd:
2025-04-30@22:23:55 GMT

লোপার ঈদ কালেকশনে যা থাকছে 

Published: 11th, March 2025 GMT

লোপার ঈদ কালেকশনে যা থাকছে 

রেগুলার ওয়্যার নিয়ে কাজ করে ‘সুতলি’। এই ব্রান্ডের স্বত্বাধিকারী রিফাত আনোয়ার লোপা শুরু থেকেই ‘কলমকারি’ফেব্রিক নিয়ে কাজ করছেন তিনি। বলতে গেলে এটিই সুতলি’র সিগনেচার ফেব্রিক। এর সঙ্গে  আছে দেশীয় হ্যান্ডলুম, রেমি কটন, কর্ডোরি কটনতো আছেই। পোশাকের জমিনে নকশা ফুটিয়ে তোলার জন্য স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, প্যাচওয়ার্ক, অ্যাম্ব্রয়ডারির কাজ করে থাকে সুতলি। ফেব্রিক একই রেখে ঈদ পোশাকে এসেছে নকশায় আর কাটে এসেছে নতুনত্ব। পোশাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে উৎসবের ভাইব। 

রিফাত আনোয়ার লোপা রাইজিংবিডিকে বলেন,  এবার ঈদ কালেকশনে থাকছে সিঙ্গেল কুর্তি, কুর্তি প্যান্ট সেট, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, টপস ও শার্ট। ঈদ কে সামনে রেখে নতুন প্রজেক্ট হিসেবে আছে- লিনেন মিক্সড রেমি কটন কুর্তি আর জুট মিক্সড রেমি প্যান্টের মিশেলে স্টিচড টু-পিস সেট।

সুতলির ঈদ পোশাকে কুর্তির সামনে আর পিছনে প্লেট দেওয়া হয়েছে। আর কুর্তির শোল্ডার, স্লিভ, ব্যাক সাইড, প্যান্টে অ্যামব্রয়ডারি কাজ করা হয়েছে। সুতলির এবারের একটি প্রজেক্ট ‘সুন্দরি কমলা’। এই প্রজেক্টে কুর্তি, প্যান্ট ও ওড়না থাকছে। ম্যাট কমলা আড়ং সেল্ফ ডিজাইন কটন কুর্তির বুকে অ্যাম্ব্রয়ডারি, সামনে, স্লিভ আর পিঠে ব্লক প্যানেল, কুর্তির ডানে একটা পকেট। সুপার স্লাব স্ক্রিনপ্রিন্টের প্যান্ট, ডাবল পকেট আর টাইডাই ওড়না; এই হলো সুন্দরি কমলার বৈশিষ্ট্য।

আরো পড়ুন:

ঈদে ফিউশনধর্মী পোশাক এনেছে ‘খাদি বাই নুভিয়া’

হাফসা মোসলেমের ঈদের গহনায় আভিজাত্য

আরও থাকছে ‘কুন্তল’। এই প্রজেক্টে কর্ডোরয় কটন ফেব্রিক্সের কুর্তিতে ডাবল পকেট, স্লিভ, গলার প্লেটে অ্যম্ব্রয়ডারি করা হয়েছে। আরও কিছু কুর্তি এনেছে সুতলি। এ ছাড়াও আছে সিঙ্গেল কুর্তি ‘রিফাত’।

রাইজিংবিডি জানতে চেয়েছিল, ঈদের দিন কেমন পোশাক পরবেন সুতলির স্বত্বাধিকারী?— রিফাত আনোয়ার লোপা বলেন, ‘‘ঈদের দিনের পোশাকে আমি সুতলিকেই বেছে নেই। এবার সুন্দরী কমলা থ্রিপিসটা পরবো।’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ প শ ক ব রয়ড র ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ