রেগুলার ওয়্যার নিয়ে কাজ করে ‘সুতলি’। এই ব্রান্ডের স্বত্বাধিকারী রিফাত আনোয়ার লোপা শুরু থেকেই ‘কলমকারি’ফেব্রিক নিয়ে কাজ করছেন তিনি। বলতে গেলে এটিই সুতলি’র সিগনেচার ফেব্রিক। এর সঙ্গে আছে দেশীয় হ্যান্ডলুম, রেমি কটন, কর্ডোরি কটনতো আছেই। পোশাকের জমিনে নকশা ফুটিয়ে তোলার জন্য স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, প্যাচওয়ার্ক, অ্যাম্ব্রয়ডারির কাজ করে থাকে সুতলি। ফেব্রিক একই রেখে ঈদ পোশাকে এসেছে নকশায় আর কাটে এসেছে নতুনত্ব। পোশাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে উৎসবের ভাইব।
রিফাত আনোয়ার লোপা রাইজিংবিডিকে বলেন, এবার ঈদ কালেকশনে থাকছে সিঙ্গেল কুর্তি, কুর্তি প্যান্ট সেট, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, টপস ও শার্ট। ঈদ কে সামনে রেখে নতুন প্রজেক্ট হিসেবে আছে- লিনেন মিক্সড রেমি কটন কুর্তি আর জুট মিক্সড রেমি প্যান্টের মিশেলে স্টিচড টু-পিস সেট।
সুতলির ঈদ পোশাকে কুর্তির সামনে আর পিছনে প্লেট দেওয়া হয়েছে। আর কুর্তির শোল্ডার, স্লিভ, ব্যাক সাইড, প্যান্টে অ্যামব্রয়ডারি কাজ করা হয়েছে। সুতলির এবারের একটি প্রজেক্ট ‘সুন্দরি কমলা’। এই প্রজেক্টে কুর্তি, প্যান্ট ও ওড়না থাকছে। ম্যাট কমলা আড়ং সেল্ফ ডিজাইন কটন কুর্তির বুকে অ্যাম্ব্রয়ডারি, সামনে, স্লিভ আর পিঠে ব্লক প্যানেল, কুর্তির ডানে একটা পকেট। সুপার স্লাব স্ক্রিনপ্রিন্টের প্যান্ট, ডাবল পকেট আর টাইডাই ওড়না; এই হলো সুন্দরি কমলার বৈশিষ্ট্য।
আরো পড়ুন:
ঈদে ফিউশনধর্মী পোশাক এনেছে ‘খাদি বাই নুভিয়া’
হাফসা মোসলেমের ঈদের গহনায় আভিজাত্য
আরও থাকছে ‘কুন্তল’। এই প্রজেক্টে কর্ডোরয় কটন ফেব্রিক্সের কুর্তিতে ডাবল পকেট, স্লিভ, গলার প্লেটে অ্যম্ব্রয়ডারি করা হয়েছে। আরও কিছু কুর্তি এনেছে সুতলি। এ ছাড়াও আছে সিঙ্গেল কুর্তি ‘রিফাত’।
রাইজিংবিডি জানতে চেয়েছিল, ঈদের দিন কেমন পোশাক পরবেন সুতলির স্বত্বাধিকারী?— রিফাত আনোয়ার লোপা বলেন, ‘‘ঈদের দিনের পোশাকে আমি সুতলিকেই বেছে নেই। এবার সুন্দরী কমলা থ্রিপিসটা পরবো।’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ প শ ক ব রয়ড র ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?