লম্বা সময় ধরে সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ ও প্রীতম হাসান একসঙ্গে কাজ করেছেন। তবে এতদিন একসঙ্গে কাজ করলেও একসঙ্গে কোনও গান করেননি। এবার তাদের পাওয়া গেলো একসঙ্গে। তাঁরা এক হলেন ‘ইত্যাদি’র ঈদ আয়োজনের মঞ্চে।

একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই দুই সংগীত তারকা। গানটির কথা লিখেছেন ইনামুল তাহসিন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান।

হাবিব ও প্রীতমের এই ব্যতিক্রমধর্মী গানটি চিত্রায়িত হয় চারিদিকে লেক ঘেরা একটি দৃষ্টিনন্দন ব্যতিক্রমী স্থানে। প্রায় পাঁচ হাজার দর্শকের সামনে এই দুই তারকা মনের আনন্দে নেচেগেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। গানটির অংশবিশেষ ফাগুন নিকেতনেও ধারণ করা হয়।

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হবে ঈদের পরদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। যথারীতি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।

বরাবরই নতুনদের সুযোগ দেন হাবিব। শুধু কণ্ঠশিল্পীরাই নন, আড়ালে থাকা অনেক গীতিকারকেও তিনি সুযোগ দিয়েছেন। একসময় হাবিব আমাদের গান ও মিউজিকে বেশ বৈচিত্র্য এনেছেন। তার বেশ কটি গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সংগীত আয়োজক প্রীতম হাসানের বাউল ও লোক সংগীতের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষণীয়।

প্রীতম যে গানই করেন তার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে করা প্রীতমের প্রতিটি গানই দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রীতমের গানে ঐতিহ্য, গ্রামীণ সংস্কৃতি ও আধুনিকতার সংমিশ্রণ গানগুলোকে ভিন্নমাত্রা দিয়ে থাকে। শুধু গানই নয়, অভিনয়েও প্রীতম সেরাদের মধ্যে নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন।

২০১২ সালে প্রচারিত ‘ইত্যাদি’র বরিশাল পর্বের মাধ্যমে প্রীতম হাসান প্রথম টিভি পর্দায় উপস্থিত হন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: একসঙ গ

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
  • শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?