প্রথম একসঙ্গে ‘ইত্যাদি’র মঞ্চে হাবিব-প্রীতম
Published: 11th, March 2025 GMT
লম্বা সময় ধরে সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ ও প্রীতম হাসান একসঙ্গে কাজ করেছেন। তবে এতদিন একসঙ্গে কাজ করলেও একসঙ্গে কোনও গান করেননি। এবার তাদের পাওয়া গেলো একসঙ্গে। তাঁরা এক হলেন ‘ইত্যাদি’র ঈদ আয়োজনের মঞ্চে।
একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই দুই সংগীত তারকা। গানটির কথা লিখেছেন ইনামুল তাহসিন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান।
হাবিব ও প্রীতমের এই ব্যতিক্রমধর্মী গানটি চিত্রায়িত হয় চারিদিকে লেক ঘেরা একটি দৃষ্টিনন্দন ব্যতিক্রমী স্থানে। প্রায় পাঁচ হাজার দর্শকের সামনে এই দুই তারকা মনের আনন্দে নেচেগেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। গানটির অংশবিশেষ ফাগুন নিকেতনেও ধারণ করা হয়।
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হবে ঈদের পরদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। যথারীতি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।
বরাবরই নতুনদের সুযোগ দেন হাবিব। শুধু কণ্ঠশিল্পীরাই নন, আড়ালে থাকা অনেক গীতিকারকেও তিনি সুযোগ দিয়েছেন। একসময় হাবিব আমাদের গান ও মিউজিকে বেশ বৈচিত্র্য এনেছেন। তার বেশ কটি গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সংগীত আয়োজক প্রীতম হাসানের বাউল ও লোক সংগীতের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষণীয়।
প্রীতম যে গানই করেন তার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে করা প্রীতমের প্রতিটি গানই দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রীতমের গানে ঐতিহ্য, গ্রামীণ সংস্কৃতি ও আধুনিকতার সংমিশ্রণ গানগুলোকে ভিন্নমাত্রা দিয়ে থাকে। শুধু গানই নয়, অভিনয়েও প্রীতম সেরাদের মধ্যে নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন।
২০১২ সালে প্রচারিত ‘ইত্যাদি’র বরিশাল পর্বের মাধ্যমে প্রীতম হাসান প্রথম টিভি পর্দায় উপস্থিত হন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: একসঙ গ
এছাড়াও পড়ুন:
জামের সঙ্গে খাবেন না যেসব খাবার
বাজারে এখন জাম পাওয়া যাচ্ছে । মিষ্টি ও রসালো স্বাদের এই ফলটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ফলের নানা উপাদান রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রয়েছে, পেট পরিষ্কার করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে । জাম রক্ত পরিষ্কার করে এবং মুখে উজ্জ্বলতা আনে । এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এত গুণ থাকা সত্ত্বেও এই ফল খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কিছু খাবার আছে যা দিয়ে জাম খাওয়া ঠিক নয়। যেমন-
মিষ্টি: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে,জাম খাওয়ার পরপরই ভুল করেও মিষ্টি খাওয়া উচিত নয় । এই দুই খাবারের মধ্যে কমপক্ষে আধ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত । তা না হলে হজমজনিত সমস্যা হতে পারে ।
পানি: অন্যান্য রসালো ফলের মতো, জাম খাওয়ার পর পরই পানি পান করা ঠিক নয় । এতে হজম প্রক্রিয়া খারাপ হতে পারে । যার ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আচার: জাম টক-মিষ্টি স্বাদের একটি ফল । আর আচার প্রায় সম্পূর্ণ টক । তাই, জাম এবং আচার কখনই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয় । দুটি একসঙ্গে খেলে বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে ।
দুধ: জাম খাওয়ার আগে বা পরে কখনই দুধ খাওয়া ঠিক নয়। উভয়েরই ঠান্ডা প্রভাব রয়েছে । এ কারণে দুটি খাবার একসঙ্গে খাওয়ার ফলে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি হতে পারে । যদি আপনি দুটি খাবারই খেতে চান তাহলে কমপক্ষে আধ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা উচিত।