পাকিস্তানে একটি ট্রেনের ৫০০ যাত্রীকে জিম্মি করেছে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবিকারী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এ সময় ছয়জন পাকিস্তানি সামরিক কর্মী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শহীদ রিন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, “পিরোকানরি এবং গাদালারের মাঝামাঝি কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস (ট্রেন)-এ তীব্র গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।”

তিনি জানান, প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, গুলি চালানোর ঘটনাটি একটি সম্ভাব্য সন্ত্রাসী ঘটনা হতে পারে। সিবি হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তবেপাথুরে ভূখণ্ডের কারণে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

রেলওয়ে কন্ট্রোলার মুহাম্মদ কাশিফ জানিয়েছেন, নয়টি কোচ বিশিষ্ট ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন।

বালুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) মুখপাত্র জিয়ান্দ বালুচ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএলএ যোদ্ধারা রেললাইন উড়িয়ে দেয় এবং ট্রেন থামাতে বাধ্য করে, তারপর তারা ট্রেনে উঠে পড়ে। পাকিস্তানি বাহিনী অভিযান শুরু করলে জিম্মিদের হত্যা করা হবে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যেকোনো সামরিক অনুপ্রবেশের জোরালো জবাব দেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত ছয়জন সামরিক কর্মী নিহত হয়েছেন এবং শত শত যাত্রী বিএলএ-এর হেফাজতে রয়েছেন। বেলুচ লিবারেশন আর্মি এই অভিযানের সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করছে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এলএ

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’

নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি। 

৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে। 

আরো পড়ুন:

দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা

২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা। 

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী। 

উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” 

চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।” 

চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়। 

মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ