বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে মৌন মিছিল করেছেন ছাত্রীরা।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রীরা এ মৌন মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। 

বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড নিয়ে কেআর মার্কেট থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন সড়ক ও দেবদারু রোড প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে নারীদের প্রতি বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা বন্ধ এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে তারা বলেন, আমাদের সমাজে যখন কেউ ধর্ষণের শিকার হয়, তখন নানাভাবে তাকে হেয় করা হয় । এমনকি তার পোশাক এবং চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। ধর্ষকের বিচারের ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়া এবং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতার বিষয়টি একেবারেই অনুপস্থিত।

ফলে একটি বাচ্চার সঙ্গেও এ রকম কাজ সংঘটিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নৈতিক শিক্ষাটা আমাদের পাঠ্যক্রমে যুক্ত করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি

তারা আরও বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যেন একজন মানুষ এটা চিন্তা করার আগেও ভাবে যে, এটারও বিচার হবে । ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনার ক্ষেত্রে নারীরা তাদের সম্মানের কথা চিন্তা করে অনেক সময় থানা পর্যন্ত যেতে চায় না।

তাই আমরা চাই, আদালতে গিয়ে ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি পর্যন্ত কোন মেয়ে যেন হয়রানির শিকার না হয়। বিচার প্রক্রিয়ার সংস্কার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। এই ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে অতি দ্রুত ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন করতে হবে।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ