গত ৮ জানুয়ারি দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সভায় প্রথমবারের মতো এ বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ‘হোম অর অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

কাঠমান্ডুতে আজ সাফের সভায় হোম অর অ্যাওয়ে নয়, বরাবরের মতো একক ভেন্যুতেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের প্রস্তাব এসেছে। সভায় উপস্থিত সদস্যদেশগুলো চায় এক ভেন্যুতেই যেন টুর্নামেন্টটা হয়। টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য সময় জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি।

আরও পড়ুনঅবসর ভেঙে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবেন সুনীল ছেত্রী০৬ মার্চ ২০২৫

তবে একক ভেন্যুতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে সাফের মার্কেটিং পার্টনার স্পোর্টস ফাইভের অনুমোদন সাপেক্ষে। এ মাসের শেষ দিকে স্পোর্টস ফাইভ তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারে। এর আগে স্পোর্টস ফাইভের সঙ্গে সাফের আলোচনায় হোম অর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব আসে। সভা সূত্রে জানা গেছে, সাফ আয়োজনে আগ্রহ দেখিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অন্যরা খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা এক ভেন্যুতেই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চেয়েছেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ