রিয়াল মাদ্রিদের খেলার ধরনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে এরই মধ্যে ২৭ গোল করেছেন ফরাসি তারকা, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৪ গোল।

কিন্তু এমবাপ্পে মাদ্রিদে পা রাখার পর সবাই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর সঙ্গে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, জুড বেলিংহাম ও রদ্রিগোকে কোন পজিশনে, কোন ভূমিকায় খেলান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। এমবাপ্পেকে শুরু থেকেই খেলাতে গিয়ে আনচেলত্তি অন্য তিন ফরোয়ার্ডের একজনকে বসিয়ে রাখবেন কি না, এমন প্রশ্নও উঠেছিল।

তবে রিয়াল কোচ উপায় ঠিকই বের করে ফেলেছেন। এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস খেলছেন স্ট্রাইকারের ভূমিকায়, বেলিংহাম ও রদ্রিগো খেলছেন তাঁদের পেছনে, কখনো কখনো দুই উইংয়ে। লা লিগায় পরশু রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে ২–১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচেও এই ফরমেশন খেলিয়েছেন আনচেলত্তি। রিয়ালের গোল দুটি ভিনি আর এমবাপ্পেই করেছেন।

রিয়াল মাদ্রিদের চার তারকা ফরোয়ার্ড (বাঁ থেকে) এমবাপ্পে, রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ