পাবনার ঈশ্বরদীতে চুরির অভিযোগে মধ্যবয়সী এক নারীকে খুঁটিতে বেঁধে জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 
খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নির্যাতিত ওই নারী কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। 
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে রোগীদের লাইনের সামনে  দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই নারী। এ সময় ‘টাকা ও সোনাদানা’ চুরির অভিযোগ এনে ভাটাপাড়া বকুলের মোড় এলাকার আপন হোসেন দেশ, মুর্শিদপুরের দাশুড়িয়া এলাকার মো.

আশিকসহ কয়েকজন তাঁকে হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা লোহার খুঁটির সঙ্গে ওই নারীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। পরে মারধর ও গালাগাল করা হয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ সমকালকে  বলেন, ‘আমরা ওই নারীকে উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় আপন হোসেন ও মো. আশিক নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ চুরি করলেও তাঁকে এভাবে নির্যাতন করার বিধান নেই। তাঁকে মারধর, অপদস্ত না করে পুলিশে সোপর্দ করা উচিত ছিল বলে জানান থানার এ কর্মকর্তা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র স মন ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ