Samakal:
2025-06-15@23:39:25 GMT

ডাকাতি আতঙ্ক নিয়েই চলাচল

Published: 11th, March 2025 GMT

ডাকাতি আতঙ্ক নিয়েই চলাচল

সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এক মাসের ব্যাবধানে যানবাহনে পরপর চারটি ডাকাতি হওয়ায় ঢাকা-উত্তরাঞ্চলের চালক-যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। ডাকাতি ছাড়াও এ সড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে অহরহ। কোনোভাবেই দমন করা যাচ্ছে না ডাকাত ও দুর্বৃত্তদের। পণ্যবাহী ট্রাকের পাশপাশি যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাসেও ডাকাতি হচ্ছে। অস্ত্রের মুখে চালক-যাত্রীদের জিম্মি করে ডাকাতরা লুটে নিচ্ছে পণ্য, মূল্যবান সামগ্রী ও নগদ অর্থ। অভিযোগ আছে, জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের দুর্বল টহল ব্যবস্থা, কড়া নজরদারির অভাবে এই মহাসড়কে একের পর এক ডাকাতি হচ্ছে। শুধু মহাসড়ক নয়; সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ডাকাতি হচ্ছে। মামলা হলেও দায়সারা তদন্তের কারণে ধরা পড়ছে না অপরাধীরা।  
কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল গ্রামের অনেকেই জানান, এ গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ইউপি সদস্য কোরবান আলীর নেতৃত্বে আন্তঃজেলা ডাকাত দল মহাসড়কে সাম্প্রতিক ডাকাতিগুলোয় জড়িত। কোরবান আলী আগে পেশাদার চোর ছিল। পরে ডাকাত দলে যোগ দিয়ে নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলে। তার বিরুদ্ধে কামারখন্দসহ বিভিন্ন থানায় ২৫টি চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা আছে। টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা চরাঞ্চলের কিছু অপরাধী যোগ দিয়েছে কোরবান আলীর ডাকাত দলে। আগের সরকারের আমলে জেলে থাকা অনেক অপরাধী সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটাচ্ছে। কোরবানের ডাকাতির ইতিহাস জেনেওে রহস্যজনক কারণে পুলিশ এখনও তাকে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নিচ্ছে না। 

যমুনা সেতুর পশ্চিমে জেলার ঢাকা-রংপুর-রাজশাহী মহাসড়কে কামারখন্দের কোনাবাড়ী এলাকায় ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে গত রোববার রাতে জামায়াতপন্থি এক দল শিক্ষককে বহনকারী মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা শিক্ষকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৬০ হাজার টাকা, সাতটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। গত ৫ ও ২২ ফেব্রুয়ারি একই মহাসড়কের একই স্থানে যাত্রীবাহী দুটি মাইক্রোবাস এবং প্রাইভেটকারে ডাকাতি  হয়েছে। এ ছাড়া গত ৩০ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গরুবোঝাই একটি ট্রাক নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে কামারখন্দে বিকল হলে ডাকাতদের কবলে পড়ে। ডাকাতি হওয়া গবাদি পশুগুলোসহ ডাকাত দল স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার কালিগঞ্জ খেয়াঘাটে রেখে পালিয়ে যায়। সম্প্রতি চারটি ডাকাতির ঘটনায় মামলা হলেও এখনও এর কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ। আবার ১৪ টন রডবোঝাই একটি ট্রাক ডেমরা থেকে বগুড়ার শেরপুর যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রংপুর মহামড়কের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনায় গত ৬ মার্চ রাতে ডাকাতের কবলে পড়ে। র‍্যাবের জাকেট পরে ৬/৭ জনের এক দল ডাকাত ট্রাকটি তল্লাশির নামে থামিয়ে মালপত্র লুট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাদ্দাম নামে উল্লাপাড়ার এক ডাকাতকে দেড় টন রডসহ পরে আটক করে পুলিশ। বাকি মাল ও অপরাধীরা এখনও অধরা। 

যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে সাসেক-২ প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তার সম্প্রসারণ কাজ চলছে। ফলে ঝাঐল এলাকায় সরু রাস্তায় ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন ধীরগতিতে চলার সুযোগে ডাকাতরা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে সহজেই ডাকাতি করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। তা ছাড়া সেতুর পশ্চিম পাড়ে সয়দাবাদ থেকে নলকা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় মহাসড়কের দু’পাশে ভুট্টা, আখসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। রাতে এসব ক্ষেতে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকে। 
কাজীপুর থানার ওসি নুর আলম বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কুনকুনিয়ায় মাশফি ডেইরি ফার্মের চারটি গরু লুটে নিয়ে যায় ডাকাতরা। আমরা এতে জড়িতদের ধরতে চেষ্টা করছি। রায়গঞ্জ থানার ওসি আসাদ উদ্দিন বলেন, ১৪ টন রডবোঝাই ট্রাকে ডাকাতির ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি জড়িতদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। 
কামারখন্দ থানার ওসি মোখলেসুর রহমান বলেন, আমি থানায় যোগদানের পর ঝাঐল ইউপি সদস্য কোরবান আলীকে একটি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করি। জামিনে ছাড়া পেয়ে এখন সে ফেরার। তার নামে কামারখন্দসহ বিভিন্ন থানায় ২৫টি চুরি-ডাকাতির মামলা রয়েছে। 

অভিযুক্ত কোরবান আলী গত সোমবার বিকেলে ফোনে সমকালকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি কোনোভাবেই মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। চিকিৎসা নিতে আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। 
সার্বিক বিষয়ে জানতে জেলা পুলিশ সুপার ফারুক হোসেনের সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল ও এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি। বগুড়া অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজির পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো.

শহিদুল্লাহ বলেন, মহাসড়কে ডাকাতি রুখতে আমরা চেষ্টা করছি। তবে ঘটনাস্থলের আশপাশের জনসাধারণের মধ্যেও সচেতনতা বাড়াতে হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ক ত র ঘটন স র জগঞ জ ক ম রখন দ ড ক ত দল অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

স্বপ্নে হলো দেখা

কারও স্বপ্নে আপনি প্রবেশ করেছেন বা অন্য কেউ আপনার স্বপ্নে এসেছেন, তাও তখন, যখন আপনি স্বপ্নে নিজের ইচ্ছায় পরিচালিত হচ্ছেন– এমনটা কি কখনও ভেবেছেন? বিজ্ঞানীদের দাবি– একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এমনটিই করেছেন তারা, যেখানে দু’জন মানুষের মধ্যে স্বপ্নের ভেতরে যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। এমনটি সত্যি হয়ে থাকলে এটিই হবে প্রথমবারের মতো ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখার সময় একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ– যা এখনও বিজ্ঞানের কাছে এক রহস্য।
ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক নিউরোটেক কোম্পানি রেমস্পেস, যারা মূলত লুসিড ড্রিমিং (স্বপ্নের মধ্যে সচেতন থাকা) ও ঘুমের বিকাশ নিয়ে কাজ করে। তারা জানিয়েছে, ইতোমধ্যে দু’বার দু’জন ব্যক্তিকে লুসিড ড্রিমে প্রবেশ করিয়ে একটি সাধারণ বার্তা আদান-প্রদান করাতে পেরেছে। 
কল্পকাহিনির মতো এক স্বপ্নপরীক্ষা
রেমস্পেসের গবেষকরা দাবি করেন, তারা এমন এক প্রযুক্তি তৈরি করেছেন; যার মাধ্যমে দু’জন ব্যক্তি লুসিড ড্রিম অবস্থায় একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। স্বপ্ন এখনও মানবতার জন্য এক বিশাল রহস্য। ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্কে বিভিন্ন উজ্জ্বল ভাবনা, দৃশ্য, অনুভূতি ও কল্পনা গঠিত হয়। আমরা প্রায় সবাই স্বপ্ন দেখি, যদিও ঘুম ভাঙার পর তা মনে থাকে না। বিজ্ঞানীরা বলেন, স্বপ্নের মাধ্যমে মস্তিষ্ক আমাদের অনুভূতি ও চিন্তা প্রক্রিয়া করে, স্মৃতি দর্শন করে এবং বাস্তব জীবনে এর প্রস্তুতি নেয়। 
স্বপ্নের মাধ্যমে যোগাযোগ
রেমস্পেসের দাবি, গত ২৪ সেপ্টেম্বর, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন, তখন রেমস্পেসের তৈরি বিশেষ যন্ত্র ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে দূর থেকে তাদের মস্তিষ্কের তরঙ্গ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, হৃদস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাস রেকর্ড করে। যখন তাদের সার্ভার শনাক্ত করে যে, একজন অংশগ্রহণকারী লুসিড ড্রিমে প্রবেশ করেছে, তখন তারা একটি র‍্যানডম শব্দ তৈরি করে সেটি কানে দেওয়া ইয়ারবাডের মাধ্যমে তাকে শুনিয়ে দেয়। কোম্পানি শব্দটি প্রকাশ করেনি– এটি শুধু ওই ব্যক্তি জানতেন এবং স্বপ্নে পুনরায় উচ্চারণ করেন বলে দাবি করা হয়েছে। এরপর সেই প্রতিক্রিয়া সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়। আট মিনিট পরে, দ্বিতীয় অংশগ্রহণকারী লুসিড ড্রিমে প্রবেশ করলে, সার্ভার থেকে তাঁকে সেই রেকর্ডকৃত বার্তা পাঠানো হয়, যা তিনি ঘুম থেকে উঠে বলেন এভাবেই স্বপ্নে প্রথমবারের মতো একটি ‘যোগাযোগ’ সম্পন্ন হয়। রেমস্পেস জানায়, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছি, এতে লুসিড ড্রিমের মাধ্যমে মানবযোগাযোগ ও সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।’
লুসিড ড্রিম কী?
লুসিড ড্রিম তখন হয়, যখন কোনো ব্যক্তি স্বপ্ন দেখার সময় সচেতন থাকেন যে, তিনি স্বপ্ন দেখছেন। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক জানায়, এটি সাধারণত ঘুমের ‘র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট’ ধাপে ঘটে, যেখানে সবচেয়ে প্রাণবন্ত স্বপ্ন দেখা যায়। এ অবস্থায় মানুষ নিজের ইচ্ছেমতো স্বপ্নে কাজ করতে পারেন, পরিকল্পিতভাবে কিছু করতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী বলেন, ‘যে কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো– যে তথ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে, তা কতটা নির্ভরযোগ্য। অর্থাৎ, এই গবেষণা অন্য কেউ অন্য কোনো জায়গায় করলে একই ফল দেবে কিনা। ঘুমের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টা নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, মোটা দাগে ঘুমের দুইটা ভাগ আছে– এক. ননরেম ঘুম, যখন আমাদের চোখের মণি নড়ে না; দুই. রেম ঘুম, এ পর্বে আমাদের চোখের মণি নড়াচড়া করে। এ সময়ে মানুষ স্বপ্ন দেখে। এই স্বপ্নও দুই রকমের। লুসিড ড্রিম; যে স্বপ্নগুলো একদম বাস্তবের মতো জলজ্যান্ত। এমন এক স্বপ্ন যা দেখার পর ঘুম থেকে উঠে মনে হবে আসলেই এমনটি ঘটেছে, এটি বাস্তব। আরেকটি স্বপ্ন হলো নন লুসিড ড্রিম। এ স্বপ্নগুলো অবাস্তব। ঘুম ভাঙার পর বেশির ভাগ সময়েই আমরা স্বপ্নের কথা মনে করতে পারি না। লুসিড ড্রিমের ক্ষেত্রে আমরা তা মনে রাখতে পারি।’
প্রথম পরীক্ষার সাফল্যের পর, রেমস্পেসের সিইও মাইকেল রাদুগা (৪০) দাবি করেন, গত ৮ অক্টোবর আরও দু’জনের সঙ্গে একই ধরনের যোগাযোগ সম্ভব হয়। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আগে স্বপ্নে যোগাযোগ ছিল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, আগামী দিনে এটা এতটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে যে, আমাদের জীবনে এটি ছাড়া কল্পনাই করা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট বা আরইএম ঘুম এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়, লুসিড ড্রিম আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পর বড় শিল্প হতে যাচ্ছে।’
যদিও রেমস্পেস এখনও জানায়নি তাদের প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে, তবে তারা সম্প্রতি ফেসবুকে জানিয়েছে, ‘লুসিড ড্রিমে যোগাযোগ’ নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রস্তুত হয়েছে এবং তা একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে পর্যালোচনার জন্য জমা দেওয়া হয়েছে– প্রকাশ হতে সময় লাগবে দুই থেকে ছয় মাস। তবে এখনও এই প্রযুক্তির কোনো বাহ্যিক বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা হয়নি এবং অন্য কেউ এ পরীক্ষা পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি।
রাদুগা যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম আমেরিকান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেছেন, তাঁর প্রত্যাশা– এ ধরনের প্রযুক্তি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মোবাইল ফোনের মতো সাধারণ হয়ে যাবে। ‘মানুষ নিজেদের জীবন এসব ছাড়া কল্পনা করতে পারবে না, কারণ এটি তাদের জীবনকে আরও উজ্জ্বল, আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলবে। এটি মানুষের জীবনমান এমনভাবে বাড়িয়ে দেবে যে, তারা এটি ছাড়া নিজেদের কল্পনাই করতে পারবে না। আমাদের শুধু এগুলো উন্নত করতে হবে– এটি শুধু সময়ের ব্যাপার।’
২০০৭ সালে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় রেমস্পেস এবং ছয় মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয়, এখন লুসিড ড্রিমিংয়ে অভিজ্ঞ বা আগ্রহী নতুন অংশগ্রহণকারীদের খুঁজছে।
স্বপ্ন-যোগাযোগের ভবিষ্যৎ
ঘুমের মধ্যে মানুষের যোগাযোগ একসময়ে নিছক কল্পবিজ্ঞান মনে হতো। এখন বিজ্ঞান এটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কল্পনা করুন– হাতের ফোনে মেসেজ না পাঠিয়ে, সরাসরি কারও স্বপ্নে ঢুকে তাঁর সঙ্গে ঘুমের মধ্যে সময় কাটানো, কথা বলা যাচ্ছে।
এই ভাবনা যেন স্বপ্নের মতো। ইতোমধ্যে কিছু কোম্পানি মানুষের চেতনা একটি বিকল্প পরিবেশে স্থানান্তরের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। একবার তা সফল হলে, সম্ভাবনার কোনো শেষ থাকবে না– মানবসভ্যতার বিবর্তন নতুন ধাপে প্রবেশ করবে।
লুসিড ড্রিমের মাধ্যমে নানারকম প্রয়োগ সম্ভব– শরীরগত সমস্যা সমাধান থেকে শুরু করে দক্ষতা অর্জন পর্যন্ত। আগের এক গবেষণায় রেমস্পেস দেখিয়েছে, মুখের পেশিতে সূক্ষ্ম সাড়া থেকে স্বপ্নে উচ্চারিত শব্দ শনাক্ত করা সম্ভব। এখান থেকেই ‘রেমিও’ নামে এক স্বপ্ন-ভাষার জন্ম, যা সেন্সরের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়।
লুসিড ড্রিমে যে র‍্যানডম শব্দ শোনানো হয় অংশগ্রহণকারীদের, সেখানে ‘রেমিও’ স্বপ্ন-ভাষা ব্যবহার করা হয়। রেমস্পেস জানায়, এই সাফল্য এসেছে পাঁচ বছরের গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নের পর। গবেষকরা প্রথম পরীক্ষার পর থেকে প্রতিটি পর্যায়ে প্রযুক্তি আরও উন্নত করেছেন। এবার তাদের লক্ষ্য আরও বড়– লুসিড ড্রিমে রিয়েল-টাইম যোগাযোগ। যদিও এটি অনেক জটিল, গবেষকদের আশা, আগামী কয়েক মাসেই তারা সফল হবেন।
শেষ কথা
যেখানে স্বপ্নে যোগাযোগ এতদিন ছিল সায়েন্স ফিকশন সিনেমা বা উপন্যাসের বিষয়; এই পরীক্ষা সেটিকে বাস্তবের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। যদি অন্যান্য বিজ্ঞানী ও প্রতিষ্ঠান একে যাচাই করে, তবে এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ধরনই বদলে দিতে পারে– যেখানে ঘুমের মাঝেও আমরা অন্যের সঙ্গে কথা বলতে পারব। এখনই অতি উত্তেজিত না হয়ে সতর্ক আশাবাদী হওয়াই ভালো– প্রযুক্তিটির সাফল্য এখনও গবেষণাগারে পর্যালোচনার অপেক্ষায়; তাতেও একে পুরোপুরি বাস্তব করতে দশককাল লেগে যেতে পারে। v

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরানের পাল্টা আঘাতে কাঁপল ইসরায়েল
  • জাফলংয়ের পাথর কোয়ারিতে এখনও রাজনৈতিক ছায়া
  • আলীকদমে ২ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্টের’ বর্ষা গ্রেপ্তার
  • ইরানে এখনও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল: আইডিএফ
  • স্বপ্নে হলো দেখা