নাটোরের আদালতে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে সাংবাদিক কাউছার হাবীব বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন। এসময় নাটোরে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় ময়মনসিংহ রেঞ্জে সংযুক্ত বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হক নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দিতে আসেন। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে গেলে পুলিশের কাছ থেকে ছুটে এসে ফজলুল হক সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন। তিনি ক্যামেরা ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’ চেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

গাজীপুরের আবাসিক হোটেল থেকে নারীসহ আটক ৯, আসবাবপত্রে আগুন 

এঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। সাময়িক বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার ফজলুল হকসহ দায়িত্বে অবহেলা করা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে সাংবাদিক কাউসার হাবীব সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  

নাটোর সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান বলেন, ‍“সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ গণম ধ যমকর ম বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান 

জুলাই গণঅভ্যত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও তিন শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আর্থিক অনুদানের চেক ও  সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আহত জুলাই যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, ছাত্র প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।

এ সময় ৪ জন শহিদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর সন্তানরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তাঁদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও অদম্য চেতনা আমাদের জাতি পুনর্গঠনের অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, এই যোদ্ধাদের সাহসিকতা দিয়েই গড়ে উঠবে একটি নতুন, উদ্ভাসিত বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রায় আমরা তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল নারায়ণগঞ্জ।

এদিকে এ অনুষ্ঠানটি শুধু অনুদান বিতরণ নয়, বরং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানোর এক অনবদ্য প্রয়াস হয়ে উঠেছিল।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান