ঠাকুরগাঁওয়ের হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার
Published: 12th, March 2025 GMT
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া আড়াই মাস বয়সী শিশু সায়ানকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে ঢাকার গাজীপুর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ জাহিদুল ইসলাম।
এসপি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “চুরি হওয়ার পর থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করা হয়। অনেক চেষ্টার পর শিশুটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এঘটনায় ৩-৪ জনকে আটকের কথা আমরা জানতে পেরেছি। তবে, আটকের বিষয়টি বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।”
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে সাড়ে ৪ বছর বয়সী শিশুকে ‘ধর্ষণ’, থানায় মামলা
রাজশাহীর পৌনে ৪ লাখ শিশু পাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
সায়ানের নানি পারভিন জানান, শিশুটিকে আনতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ প্রশাসন সায়ানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
এর আগে, গত সোমবার (১০ মার্চ) ইফতারের পর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে শিশুটি চুরি হয়। চুরি হওয়া শিশুটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লি থানার মুন্সিরহাট এলাকার শিমুল হোসেনের ছেলে।
গত রবিবার ৯ মার্চ ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হলে সায়ানকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। সোমবার সারাদিন এক অচেনা নারী শিশুটির পাশে থেকে তার যত্ন নেয় এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। সন্ধ্যায় শিশুটির মা হাসি ও তার নানী পাশের ওয়ার্ডে অন্য এক রোগীকে দেখতে যান। ফিরে এসে তারা শিশুটিকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই বিক্ষুব্ধ জনতা শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পর দিন মঙ্গলবার সকালেও শিশুটিকে উদ্ধার ও হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি সহ নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির কথা শোনেন এবং শিশুটিকে উদ্ধার আশ্বাস দেন। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ ও বিক্ষোভ বন্ধ করেন।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র ঠ ক রগ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’