পাঁচ বছর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়াও রায়ে দুই শিশুকে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বগুড়ার ধুনট উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে মোহন, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাতী গ্রামের মো.

মিজানের ছেলে সাব্বির ও শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার (সদর) চিকন্দী গ্রামের কামাল ওরফে আবুল কালামের ছেলে রাসেল। দণ্ডের পাশাপাশি এদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

এদিকে ওমর এবং ফালান নামে দুই শিশুকে ১০ বছরের সাজার পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা যায়, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি কারাগারে আছেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাজা পাওয়া দুই শিশু পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৭ জুন আসামিরা ভিকটিমকে কামরাঙ্গীরচর থানাধীন হাসান নগরের নুর আলমের বাসার নির্মাণাধীন ভবনের চতুর্থ তলায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে কামরাঙ্গীরচর থানার ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ