Prothomalo:
2025-11-03@20:52:46 GMT

ইচ্ছের কফিনবক্স

Published: 12th, March 2025 GMT

কাঁটাবনে কোনো গাছই নেই, কাঠের কফিনবক্স আছে। 

অথচ কাঁটাবন—এই শব্দবন্ধে কারও মনে হতে পারে কোনো একদিন খুব কাঁটাভরা গাছ ছিল, গাছ থাকলে ফুল ছিল, পশুপক্ষী ছিল। ছিল মানে এখন তা নেই আর, যেমন একদা বাড়ির সামনে পাতাবাহার ছিল, এখন তা নেই আর। যেমন মুহূর্ত, বুকের ভেতরে বুক ঘষবার...

এখন কাঁটাবন একটি বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেট। দেদারসে বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন ফুল, পাখি, অ্যাকুরিয়ামভর্তি বিদেশি মাছ, কুকুর-বিড়ালের ছানা ও কাঠের কফিনবক্স। মৃত্যু ও হত্যা বেশি হলে ফুল ও কফিনবক্স বিক্রি বেড়ে যায়। নির্ঘুম কফিন বিক্রেতাকে খুশি খুশি লাগে।

কাঁটাবনে যদি কাঁটাভরা বনানী না থাকে, তাহলে তোমার মধ্যেও তুমি নেই আর, আমার মধ্যেও আমি নেই। হ্যাঁ, আমি হয়তো একটি টলোমলো প্রেমের কবিতা লিখতে পারি, যার মধ্যে ধুপধুপ ভালোবাসার ধুকপুকানি থাকবে না, রেললাইনের ওপর অকারণ বসে থাকা থাকবে না, নদীর ধারে বেড়াতে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে থাকবে না, তোমার জন্য আমার মধ্যে যে আদিগন্ত অপেক্ষাসমূহ ঘাপটি মেরে থাকে, তা থাকবে না। হ্যাঁ, তুমি জয়ী, তুমি একটি ছেঁড়া টাকার নোট আমার বাবার মতো ঝাপসা দৃষ্টির দোকানদারকে আলগোছে গছিয়ে দিতে পেরে দারুণ স্বস্তি পেয়েছ।

কাঁটাবনে আর কোনো কাঁটামুখী বন নেই। ভালোবাসার মধ্যেও আর কোনো ভালোবাসা নেই, ভালোবাসার কবিতাও তাই আজ আর কোনো ভালোবাসার কবিতা নয়, কবিতারা ইচ্ছের কফিনবক্সমাত্র

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ