নড়াইলে জমিদার আমলের স্থাপনা, যেগুলো দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা
Published: 12th, March 2025 GMT
নড়াইলে জমিদারদের আমলে নির্মিত হয়েছিল নানা স্থাপনা। এর বেশির ভাগই ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে এখনো স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে চিত্রা নদীর পাড়ের ঐতিহ্যবাহী বাঁধা ঘাট ও পাথরের তৈরি একটি মন্দিরসহ কয়েকটি স্থাপনা। এসব দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক দর্শনার্থী আসেন।
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৭৯১ সালে নড়াইলে জমিদারি প্রথা চালু করেন জমিদার কালীশংকর রায়। পরে তাঁর দুই ছেলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় জমিদারি। বড় ছেলে রাম নারায়ণকে নড়াইল জমিদারবাড়ি এবং ছোট ছেলে জয় নারায়ণ রায়কে হাটবাড়িয়া জমিদারবাড়ি দেওয়া হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের মধ্য দিয়ে অবসান হয় তাঁদের জমিদারির। তখন জমিদারদের বংশধরেরা কলকাতায় চলে যান। পড়ে থাকে তাঁদের নির্মিত জমিদারবাড়ি, নাট্যমঞ্চ, পূজামণ্ডপ ও মন্দির, কাছারিঘর, ছোট-বড় কয়েকটি পুকুর, দীঘি ও বাঁধানো ঘাট। অযত্ন আর অবহেলায় এসব স্থাপনার বেশির ভাগই এখন ধ্বংসপ্রায়।
স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে টিকে আছে শুধু চিত্রা নদীর পাড়ে ঐতিহ্যবাহী বাঁধা ঘাট, পুলিশ লাইনস এলাকায় পাথরের তৈরি একটি মন্দির, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে প্রাচীন গ্যালারি ভবন এবং হাটবাড়িয়া জমিদারবাড়িতে একটি মন্দির ও সান বাঁধানো পুকুরঘাট।
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের মধ্যে থাকা গ্যালারি ভবন৷ সম্প্রতি এটি সংস্কার করা হয়েছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা
মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”
শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।
ঢাকা/রাহাত/রাসেল