স্পর্শিয়ার প্রেমে পাগল দুই ভাই ফারহান ও রাব্বী
Published: 12th, March 2025 GMT
অর্চিতা স্পর্শিয়া বরাবরই কাজ করেন বেছে বেছে। বিশেষ করে শেষ কয়েক বছর তো নাটকে পাওয়াই যায় না। মন দিয়েছেন সিনেমায়। এমন পরিস্থিতিতে আসছে ঈদে স্পর্শিয়ার অন্যতম উপহার হয়ে আসছে বিশেষ নাটক ‘শেষটা তুমি’।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি’র ব্যানারে মাহমুদ মাহিনের চিত্রনাট্য ও নির্মাণে এতে স্পর্শিয়ার প্রেমিক চরিত্রে দেখা যাবে দুই ভাইকে! তারা হলেন মুশফিক ফারহান ও মীর রাব্বী। অভিনেতা হিসেবে যে দুজন বেশ সমৃদ্ধ অবস্থান গড়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে।
নির্মাতা জানান, ‘শেষটা তুমি’তে স্পর্শিয়া অভিনয় করেছেন গ্রামের এক মুন্সির যুবতী কন্যার চরিত্রে। অন্যদিকে একই গ্রামের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা দুই ভাই রনি ও রাজিব চরিত্রে দেখা যাবে মুশফিক ফারহান ও মীর রাব্বীকে। দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রেম নিয়ে জটিলতা উঠে আসে নাটকের গল্পে। যদিও পুরো নাটকের কনসেপ্ট বেশ সিরিয়াস এবং ভালোবাসার।
নির্মাতা মনে করেন, ‘এটি সমাজ, সংসার, প্রেম ও ক্রোধের গল্প। গল্পটা বেশ সিরিয়াস। টিত্রনাট্যে অনেকগুলো উত্থান পতন আছে। শিল্পীরা সেই চরিত্রের মধ্যে মিশে গেছেন। আশা করছি দর্শকরাও কাজটি দেখে স্বস্তি পাবেন।’
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘শেষটা তুমি’সহ রোজার ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে মুক্তি পাচ্ছে ২০টি বিশেষ নাটক। যা প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত হবে চাঁদরাত থেকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’