বন্দরে পোশাক তৈরি কারখানায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি
Published: 12th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আল ফাহাদ ট্রেড লাইন্স নামে এক পোশাক তৈরি কারখানায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১২ মার্চ) ভোরে মদনপুর ইউপির দেওয়ানবাগ এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় মুখোশদারি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল লুটে নেয় নগদ ১৩ লাখ টাকা সহ ২২ লাখ টাকার মালামাল ।
খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) আসিফ ইমাম ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বস্ত করেন তিনি।
কারখানার স্টোর কিপার আব্দুল হান্নান জানান, ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে কারখানার পিছনের দরজা দিয়ে ১০/১২ জনের একটি মুখোশদারি ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সিকিউরিটি গার্ডদের জিম্মি করে কারখানায় প্রবেশ করে।
তারপর গার্ডদের হাত পা বেধে সিসি ক্যামেরা ও মেশিনারিজ খুলে ডাকাতদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
পরে অফিস কক্ষগুলোতে ঢুকে ভল্ট, লকার ও টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৩টি কম্পিউটার, ১টি সিসিটিভির মনিটর, স্টোরেজ মেশিন, ১টি জেনারেটর, ৬টি মোবাইল সেট, ৪ লাখ টাকা মূল্যের ১টি গরু ও যন্ত্রপাতিসহ মোট ২২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়।
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, গত বছরের ৩ জুলাই একই কায়দায় ডাকাতদল অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ড ক ত র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।