ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া এক ছেলেশিশুকে দুই দিন পর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা পৌনে ২টার দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১ গাজীপুর ও র‍্যাব-১৩ দিনাজপুরের সদস্যরা। এ সময় আটক করা হয়েছে চারজনকে।

গত সোমবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২ মাস ১৭ দিন বয়সী শিশুটি চুরি হয়েছিল। আজ দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১ গাজীপুরের কোম্পানি কমান্ডার কে এম এ মামুন খান চিশতী।

আটক চারজন হলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নুলতলা গ্রামের সোনালী আক্তার শিরিন (২০), তাঁর স্বামী একই গ্রামের মো.

রাজু কবিরাজ (২২), নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার চকপাড়া গ্রামের মো. লিটন মিয়া (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী লাভলী বেগম (৩২)। চুরি হওয়া শিশুটির নাম সায়ান আহমেদ। সে ঠাকুরগাঁও সদরের মোজা বনি গ্রামের শিমুল ইসলাম ও হাসি আক্তার দম্পতির সন্তান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ৯ মার্চ বেলা ২টার দিকে অসুস্থতার কারণে শিশুটিকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালের ভেতরে অপরিচিত এক নারীর কাছে ছেলেকে দিয়ে শৌচাগারে যান মা। ফিরে এসে দেখেন, অপরিচিত ওই নারী ও শিশুসন্তান নেই। খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানায় শিশুটির বাবা মো. শিমুল ইসলাম অপহরণের মামলা করেন। ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এক সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-১৩–এর সদস্যরা শ্রীপুরের মুলাইদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশু সায়ানকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।

র‍্যাব-১ গাজীপুরের কোম্পানি কমান্ডার কে এম এ মামুন খান চিশতী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা শিশু চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।

তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়। 

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
  • দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী