সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি) এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান। 

বুধবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মঞ্জুর এলাহী বাংলাদেশের বাণিজ্য খাতে এক অনন্য পথিকৃৎ। তিনি নেতৃত্ব, সততা ও অদম্য নিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের কর্পোরেট খাত বিকাশে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তার অসাধারণ পেশাদারিত্ব তাকে দুইবার (১৯৯৬ এবং ২০০১) বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নিযুক্ত হওয়ার বিরল সম্মান এনে দেয়। যা তার রাষ্ট্রনায়কত্ব এবং জাতির প্রতি অঙ্গীকারের প্রমাণ। এই অপূরণীয় শূন্যতায় এমটিবি তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, প্রিয়জন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়। 

এতে আরও বলা হয়, মঞ্জুর এলাহীর স্মৃতি, আদর্শ ও কর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আগামীতে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমরা এমটিবি পরিবার তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। 

বুধবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঞ্জুর এলাহী। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এমট ব

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ