মঞ্জুর এলাহীর মতো শ খানেক মানুষ থাকলে দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যেত
Published: 12th, March 2025 GMT
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ছিলেন বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আইকন। উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি তুলনামূলকভাবে অল্প বয়সেই বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ব্যবসা ও পরিষেবা প্রতিষ্ঠায় সফলতা অর্জন করেন।
সফল ব্যবসায়ীর পাশাপাশি আরও যে কারণে তাঁকে স্মরণ করি তা হলো, তাঁর সঠিক কাজ করার প্রবণতা এবং বিষয়টি তাঁর চরিত্রের অন্যান্য দিক ছাপিয়ে যায়। তা সে ব্যবসায় হোক, সমাজে বা পরিবারে, সবখানেই তাঁর এই প্রবণতা দেখা যায়।
যে কাজেই তিনি হাত দিয়েছেন, সেই কাজেই তিনি সেরা নজির স্থাপন করেছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে তাঁর সাহস ও গতি ছিল, সেটাই ছিল তাঁর সফল প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ভিত্তি। তাঁর চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সমাজে, পরিবারে ও শিল্পে বড় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ছিলেন বাংলাদেশের ব্যবসায়িক জগতের মহিরুহ। তাঁর জীবন ছিল অনুসরণীয়। সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার পরাকাষ্ঠা ছিলেন তিনি। তাঁর মতো খুব বেশি মানুষ আমাদের দেশে খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি নিজে অফিস থেকে কিছু নিতেন না। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি টেলিফোন, কম্পিউটার বা গাড়ি কিছুই নেননি। নিজের প্রাপ্য গাড়ি ব্যাংকের আন্তর্জাতিক সহযোগীদের বা অতিথিদের ব্যবহারের জন্য দিয়ে রাখতেন। সেই গাড়ি ওভাবেই ব্যবহার করা হতো।
পরিচালনা পর্ষদে তিনি সবার মত শুনতেন। এরপর সবার বক্তব্যের সারসংক্ষেপ করে যে সিদ্ধান্ত নিতেন, সবাই তা মেনে নিতেন। এমনকি কোনো বৈঠক বা অনুষ্ঠানে আসতে দেরি হলে আগেই জানিয়ে দিতেন।
জীবনে কোনো দিন তিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাননি। নিয়মবহির্ভূত সিদ্ধান্ত নেননি। এসব ক্ষেত্রে তিনি বে–নজির। বাস্তবতা হলো, তাঁর মতো এ রকম শ খানেক মানুষ থাকলে বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থেই সিঙ্গাপুর হয়ে যেত। করপোরেট সুশাসন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে বিশ্বাস করতেন তিনি।
আনিস এ খান: সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
কারা বেশি কাঁদেন?
কান্না একটি এমন একটি স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর মানসিক প্রক্রিয়া যা শরীরকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘‘যারা বেশি কাঁদেন তাদের মধ্যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এর কারণ কখনও মানসিক কখনও শারীরিক আবার কখনও পারিপার্শ্বিক বিষয়।’’ বেশি কান্না করা মানুষের আচরণে বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
উচ্চ মানসিক সংবেদনশীলতা
এই ব্যক্তিরা সাধারণত অন্যের আবেগ ও অনুভূতি খুব সহজেই বুঝতে পারেন এবং গভীরভাবে অনুভব করেন। সামান্য ঘটনায় তারা বেশি প্রভাবিত হন।
আরো পড়ুন:
যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়
বিশ্বে কারা বেশি পড়েন, কোন বই বেশি পড়েন?
সহানুভূতির প্রবণতা
যাদের মধ্যে সহানুভূতির মাত্রা বেশি, তারা প্রায়শই বেশি কাঁদেন। তারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যের কষ্টেও সহজে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
মানসিক চাপ বা বিষণ্নতা
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্নতার কারণে মানুষ বেশি কাঁদতে পারে। কান্না এক্ষেত্রে জমে থাকা মানসিক চাপ কমানোর একটি উপায় হিসেবে কাজ করে।
হরমোনের প্রভাব
হরমোনের তারতম্য, বিশেষ করে নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে, কান্নার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোনের মাত্রা কান্নার সাথে সম্পর্কিত।
অতীত অভিজ্ঞতা
অতীতের কোনো দুঃখজনক বা আঘাতমূলক ঘটনা মানুষের মধ্যে সহজে কেঁদে ফেলার প্রবণতা তৈরি করতে পারে।
যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কান্না
কিছু মানুষের জন্য কান্না হল নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করার একটি উপায়, কারণ তারা হয়তো কথা বলে তা প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।
উল্লেখ্য, যদি অতিরিক্ত কান্না দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে বা বিষণ্নতার লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়, তাহলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ঢাকা/লিপি