জাতীয় নারী ফুটবল দলের নতুন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারকে নিজ জেলা সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ফুটবল মাঠে দেশের জন্য সাফল্য বয়ে আনায় জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন, শুভানুধ্যায়ী ও স্থানীয় লোকজন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

আজ বুধবার বেলা দুইটায় আফঈদা সাতক্ষীরায় পৌঁছালে শহরের তুফান কোম্পানির মোড়ে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান, মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারহা দীবা খান, এরিয়ান্স ক্লাবের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, ফুটবল খেলোয়াড় রেজাউল ইসলাম, শেখ রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার শহরের সুলতানপুরে পৌঁছালে তাঁর আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন। আফঈদার এ অর্জন এলাকার মানুষ নিজেদের অর্জন মনে করে আনন্দ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তাঁর সাফল্যকে সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের গর্ব হিসেবে দেখছেন।

শুভেচ্ছা গ্রহণ শেষে আফঈদা খন্দকার বলেন, ‘নিজ জেলা ও আপনজনদের এমন ভালোবাসা পেয়ে আমি অভিভূত। সাতক্ষীরা আমার শিকড়, এখান থেকেই আমার ফুটবলের যাত্রা শুরু। ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে চাই। ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

সাতক্ষীরার ক্রীড়া সংগঠকেরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আফঈদার মতো আরও অনেকে জেলার ক্রীড়াঙ্গন থেকে উঠে আসবেন এবং দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ