বেরোবিতে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি
Published: 12th, March 2025 GMT
পুলিশের ওপর হামলাকারী শাহবাগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জয় বলেন, “এর আগেও ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা হয়েছিল, এখনো তা চালানো হচ্ছে। তবে আমরা কখনোই এ ধরনের অপচেষ্টা সফল হতে দেব না।”
আলবীর অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, “যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে, তারা মূলত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা চাই, দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।”
রহমত আলী নামের আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এসেছে, সেখানে আর কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া যাবে না। এ দেশ বিদেশি কোনো প্রেসক্রিপশনে চলবে না। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে মুসল্লিদের ওপর যে হামলা হয়েছিল, তারও অবিলম্বে বিচার করতে হবে।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বুড়িরচরের জোড়খালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা-পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মো. আলাউদ্দিন সন্দ্বীপ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিষপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার শ্বশুরবাড়িতে পালিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে হাতিয়া থানা হাজতে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন জোড়খালী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করে সরকার বিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। গোপন সংবাদে বিষয়টি টের পাওয়ার পরই তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আলাউদ্দিন ও তাঁর ১৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার পরিকল্পনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাতিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।