Samakal:
2025-06-16@00:08:51 GMT

গর্ভাবস্থায় উচ্চমাত্রার জ্বর

Published: 13th, March 2025 GMT

গর্ভাবস্থায় উচ্চমাত্রার জ্বর

জ্বর হচ্ছে রোগের বহিঃপ্রকাশ। গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে বেশিমাত্রায় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এখানে শুধু মা নন, অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্যেরও বিষয় থাকে। গর্ভাবস্থায় উচ্চমাত্রার জ্বর মা ও সন্তান দু’জনকেই ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে মায়ের শরীর দ্রুতই খারাপ হয়। জ্বরের প্রভাব অনাগত সন্তানের ওপর পড়তে পারে। 
গর্ভাবস্থায় জ্বর নানা কারণে হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বারা মূত্রাশয়ে প্রদাহ, মৌসুমি ফ্লুর কারণে কিংবা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। 

সাধারণত ১০০ থেকে ১০২ ফারেনহাইট 

জ্বর থাকলে সেটিকে সাধারণ জ্বর বলা হয়। কিন্তু জ্বর যদি ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়, তবে সেটি উচ্চমাত্রার জ্বর। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে যদি পাতলা পায়খানা, মাথা ঘোরা, গায়ে ব্যথা, পায়ে ব্যথা হয়, তাহলে সাবধান হতে হবে। কারও নাক বা দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া, কারও আবার গায়ে র‌্যাশ ওঠার সমস্যাও হয়। 
জ্বর হলেই গর্ভাবস্থায় সব ওষুধ  খাওয়া যাবে না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ খেলে তা মারাত্মক হতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক তো অবশ্যই নয়।

তবে রোগীকে পরীক্ষা করে ডাক্তার যদি মনে করেন, রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে, তাহলে তিনি তা পারেন। তবে ডেঙ্গু বা যে কোনো জ্বরই হোক, অন্তঃসত্ত্বাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ডেঙ্গু পরীক্ষায় এনএস ১ যদি নেগেটিভও হয়, তাহলেও অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের লক্ষণ খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় ডেঙ্গু নেগেটিভ আসে, তারপরও সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর আক্রান্ত হওয়ার চার থেকে সাত দিন সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়। এর পরই প্লাটিলেট কমতে থাকে, রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা দেয়। 

প্লাটিলেট কমে গেলে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ইন্টারনাল হেমারেজ হতে পারে, অনাগত সন্তান পেটে মারা যেতে পারে। অনেক সময় প্রি-ম্যাচিউর ডেলিভারি হতে পারে। এ সময় ডেলিভারি হলে বাচ্চারও ডেঙ্গু হতে পারে। 

তাই জ্বর হলে ঘরে বসে থাকা যাবে না। রোগীর জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ মাপতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার, যেমন– স্যুপ, ডাবের পানি, ফলের রস, স্যালাইন খেতে হবে। পাশাপাশি প্রোটিনজাতীয় খাবার, সবুজ শাকসবজি, মাছ, মুরগি খেতে হবে।  ইমিউনিটি ঠিক থাকলে রোগী খুব বেশি জ্বরে কাবু হবে না। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বর থেকে সাবধান থাকতে অন্তঃসত্ত্বাদের দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে, ফুল স্লিপ জামা পরতে হবে, মশার রিপেলমেন্ট ব্যবহার করতে হবে। 

লেখক : সহকারী অধ্যাপক (গাইনি ও অবস), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জ বর

এছাড়াও পড়ুন:

আগামীকাল ফের সংস্কারের সংলাপ

ঈদুল আজহার ছুটির পর আগামীকাল মঙ্গলবার ফের শুরু হচ্ছে সংস্কারের জন্য গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এর পর বিরতি দিয়ে আবার শুরু হবে।

গত ২ জুন প্রধান উপদেষ্টা এবং কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংলাপের উদ্বোধন করেন। পরদিন শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ। প্রথম দিনে ৭০ অনুচ্ছেদ, নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটি নিয়ে ঐকমত্য গঠনে ৩০ রাজনৈতিক দল এবং জোটের প্রতিনিধিদের আলোচনা হয়। প্রথম দিনের আলোচ্য সূচিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও সময় স্বল্পতায় তা হয়নি। প্রথম তিন ইস্যুতেও আলোচনা অসমাপ্ত থাকে।

আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া সংলাপে এই তিন ইস্যুতেও আলোচনা হবে। আলোচ্য সূচিতে রয়েছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া। সংলাপ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিটিভিতে। সভাপতিত্ব করবেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ