নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে এক যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবকের দুই হাত বেঁধে গাছে ঝোলানো হয়েছে। এ অবস্থায় কয়েকজন যুবক তাকে লাথি, ঘুষি মারছে। ঘটনাটি অনেকে মোবাইল ফোনে ধারণ করছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শহীদ মিনারের পাশের চায়ের দোকানি আজাদ মিয়া বলেন, ‘ছিনতাইকারী বইলা এক ছেলেরে মারতে মারতে শহীদ মিনারে নিয়া আসা হয়। পরে তাকে গাছে বেঁধেও মারধর করা হয়। লাঠি, রড দিয়ে পেটানো হয়। বেশ কিছুক্ষণ মারধরের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

প্রায় সময়ই শহীদ মিনারে চোর, ছিনতাইকারী অভিযোগ তুলে মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানান এ চা দোকানি।

কিশোর-যুবক বয়সী ছেলেদের মারামারির ঘটনাও শহীদ মিনারের রোজকার হয়ে গেছে বলে জানান আশেপাশের দোকানিরা। গত ৯ মার্চ শহীদ মিনারের পাশের ভাষা সৈনিক সড়কে তর্কের জেরে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটে।

যোগাযোগ করা হলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাসির আহমদ বলেন, তারা দেরিতে খবর পেয়েছিলেন। ভুক্তভোগী যুবক ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ম রধর র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ