গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আহত ১২
Published: 13th, March 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহী বাস ও সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার চাপ্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় চাপ্তা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মহাসড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ১২ যাত্রী আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মারাত্মক আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ স ঘর ষ আহত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’