নড়াইলের লোহাগড়ায় শাহাদাত মোল্যা (৫) নামে এক শিশুর মরদেহ মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর দাদি রাবেয়া বেগমকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার নোয়গ্রাম ইউনিয়নের চর শামুকখোলা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত শাহাদাত উপজেলা নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের চর-শামুকখোলা গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যার ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চর-শামুকখোলা গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যার সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। শাহাদাত দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের পক্ষের ছেলে। সম্প্রতি রাবেয়া বেগমের ২০ হাজার টাকা হারিয়ে যায়। এ নিয়ে শাহাদাত ও তার মায়ের সঙ্গে দাদি রাবেয়ার ঝগড়া হয়। বুধবার বিকেলে শাহাদাত বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সকল জায়গা খুঁজে না পেয়ে মসজিদের মাইকিং নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করা হয়। এর পর ওই গ্রামের এক ব্যক্তি জানায়, সন্ধ্যায় শাহাদাতকে তাদের বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে দাদির সঙ্গে দেখেছেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা পুকুর পাড়ে গিয়ে মাটিতে চাপা দেওয়া অবস্থায় শাহাদাতের মরদেহ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে শাহাদতের মরদেহ উদ্ধারসহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই শিশুর দাদি রাবেয়া বেগমকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ