ব্র্যাক ব্যাংকের অফার ১২ শতাধিক আউটলেটে
Published: 13th, March 2025 GMT
গ্রাহকদের জন্য এই রমজান এবং ঈদকে আরও আনন্দময় করে তুলতে দেশজুড়ে ১২ শতাধিক আউটলেটে ব্র্যাক ব্যাংক দিচ্ছে আকর্ষণীয় অফার। পবিত্র মাসে গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংক ডাইনিং, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে নানান রকমের ডিসকাউন্ট এবং এক্সক্লুসিভ অফার। আকর্ষণীয় বুফে ইফতার থেকে শুরু করে কেনাকাটা ও এয়ার টিকিটে থাকছে স্পেশাল ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। ব্র্যাক ব্যাংক এসব তথ্য জানিয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন আকর্ষণীয় অফার সম্পর্কে ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো.
এক্সক্লুসিভ ডাইনিং
ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা প্রিমিয়ার ফাইভ স্টার হোটেলে বাই-ওয়ান-গেট-ফোর ফ্রি অফারে ইফতার এবং সাহ্রি উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া ৫০০-এরও বেশি মার্চেন্ট পার্টনারের সঙ্গে উপভোগ করবেন গ্র্যান্ড বুফে ডিল। এ অফার চলবে রমজানজুড়ে ঈদের দিন পর্যন্ত।
রমজানের প্রথম সাত দিন সব ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডারের জন্য সিক্স সিজনস হোটেলে থাকছে বাই-ওয়ান-গেট-ফোর ফ্রি বুফে অফার। রমজানের বাকি দিনগুলোতে থাকছে বাই-ওয়ান-গেট-থ্রি ফ্রি অফার। হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরিতেও থাকছে পুরো রমজানজুড়ে বাই-ওয়ান-গেট-থ্রি ফ্রি অফার। আমারি ঢাকা, ক্রাউন প্লাজা গুলশান, হোটেল সারিনা এবং গোল্ডেন টিউলিপে ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা পাবেন বাই-ওয়ান-গেট-টু ফ্রি অফার। রমজানের প্রথম ১০ দিন হলিডে ইন ঢাকা এবং পেনিনসুলা চট্টগ্রাম এবং প্রথম ১৫ দিন হোটেল আগ্রাবাদে থাকছে বাই-ওয়ান-গেট-টু ফ্রি অফার।
দেশের ৫৫টি প্রথম সারির হোটেলে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকরা উপভোগ করবেন বাই-ওয়ান-গেট-ওয়ান ফ্রি অফার। এগুলোর মধ্যে শেরাটন ঢাকা, ওয়েস্টিন ঢাকা, লা-মেরিডিয়েন ঢাকা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, রেনেসাঁ ঢাকা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, রেডিসন ব্লু ঢাকা অ্যান্ড চট্টগ্রাম, অ্যাসকট দ্য রেসিডেন্স এবং রোজভিউ সিলেট অন্যতম। ভোজনরসিকরা বড় শহরগুলোর ৮০টি রেস্টুরেন্টে ডাইন-ইন এবং টেকআওয়েতে উপভোগ করবেন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট।
লাইফস্টাইল এবং জুয়েলারি
ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা ২৫০টিরও বেশি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে জারা ফ্যাশন মল, অ্যাসটোরিয়ন, বিশ্বরঙ, কে ক্র্যাফট, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির, দেশাল এবং ভিভা ক্রিয়েশন। যারা জুয়েলারি কিনতে চান, তারা ৩০টি স্বনামধন্য জুয়েলারি আউটলেটে উপভোগ করবেন ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গীতাঞ্জলি জুয়েলার্স, নক্ষত্র গোল্ড, তানিশ্ক জুয়েলারি, জারা গোল্ড এবং জাভেরি গোল্ড।
ট্রাভেল এবং এয়ারলাইন্স
ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য ডমেস্টিক এয়ার টিকিটে ব্র্যাক ব্যাংক দিচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। এ সুবিধা পাওয়া যাবে নভো এয়ার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং এয়ার অ্যাস্ট্রায়। ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড দিয়ে শেয়ারট্রিপ থেকে বুকিং করলে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটে পাওয়া যাবে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা গো-যায়ান থেকে টিকিট বুক করলে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাবেন। এ ছাড়া ৪০টিও বেশি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস পার্টনারের সঙ্গে উপভোগ করা যাবে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লং বিচ হোটেল, ওশেন প্যারাডাইস, মম ইন, নাজিমগড় রিসোর্ট, ব্র্যাক সিডিএম, গো-যায়ান, শেয়ারট্রিপ, ফার্স্টট্রিপ এবং এমি।
ফার্নিচার এবং ইলেক্ট্রনিক্স
ব্রাদার্স ফার্নিচার, রিগ্যাল, হাতিল, হাতিম, নাভানা এবং নাদিয়া ফার্নিচারের মতো জনপ্রিয় ফার্নিচার ব্র্যান্ডে কেনাকাটায় গ্রাহকরা উপভোগ করবেন ১২ মাস পর্যন্ত ০ শতাংশ পে-ফ্লেক্স সুবিধা। ট্রান্সকম, বাটারফ্লাই মার্কেটিং, সিঙ্গার, এসকোয়্যার ইলেকট্রনিক্স, র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স এবং গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারের মতো স্বনামধন্য ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্সে এবং মোবাইল ফোন ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা উপভোগ করবেন ২৪ মাস পর্যন্ত ০ শতাংশ পে-ফ্লেক্স সুবিধা। এ ছাড়া, ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা ৫০টিরও বেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পাবেন ২০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট।
ক্যাশব্যাক এবং রিওয়ার্ড
কেনাকাটাকে আরও উপভোগ্য এবং আনন্দময় করে তুলতে ব্র্যাক ব্যাংক দিচ্ছে ক্রেডিট কার্ডহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। ডেবিট কার্ডহোল্ডাররা পিওএস এবং কিউআর ট্রানজ্যাকশনে পাবেন পাঁচ গুণ বেশি রিওয়ার্ড পয়েন্ট। এই সুবিধাটি পাওয়া যাবে আর্টিসান, লা রিভ, অ্যাডিডাস, পুমা, নাইকি এবং লিভাইসে। এ ছাড়া, আড়ং, বাটা এবং ইল্লিয়িন থেকে অনলাইন কেনাকাটায় গ্রাহকরা পাবেন ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। ফুড ডেলিভারিতেও ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ডহোল্ডাররা পাবেন ডিসকাউন্ট। ফুডপান্ডা এবং ফুডিতে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া সহজ, পরিবহন ডটকম এবং বিডি টিকিটস থেকে ভ্রমণ টিকিট ক্রয়ে পাওয়া যাবে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপভ গ করব ন গ র হকর রমজ ন প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার ৮ বছরেও নিজস্ব ভবন পায়নি ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড
ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর এবং জামালপুর চার জেলা নিয়ে ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পার হলেও শিক্ষা বোর্ডটি এখনও পায়নি নিজস্ব ভবন। বর্তমানে নগরীর কাঠগোলায় পৃথক দু’টি ভাড়া ভবনে চলছে শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম। শিক্ষা উপকরণ রাখার জন্য আরও তিনিটি আলাদা ভবন ভাড়া নেয়া হলেও এগুলোর অবস্থাও নাজুক।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভবন ১ ও ২ এর মধ্যবর্তী দূরত্ব দুই কিলোমিটার। আবার গোডাউন গুলোর অবস্থানও নগরীর ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। এতে দুই অফিস ও গোডাউনগুলোতে কাজ করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের।
তাছাড়া জনবল সংকটেও ধুকছে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। এখন পর্যন্ত স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটির নির্দিষ্ট কোনো অর্গানোগ্রাম নেই। ১২২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি চলছে মাত্র ২২ জন কর্মকর্তা ও ১৯ জন কর্মচারী দিয়ে। স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে চার জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে খেতে হচ্ছে তাদের।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের কাঠগোলা বাজারে অবস্থিত ভবন ১ এ কার্যক্রম চলে চেয়ারম্যান, সচিব, হিসাব ও আই টি শাখার। এই ভবনের নিচ তলায় গাদাগাদি করে থাকেন আনসার সদস্যরা। আর ভবন ২ এ আছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, স্কুল কলেজ পরিদর্শন শাখা।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দুটি মূল ভবন ও তিনটি গোডাউন বাবদ প্রতিমাসে ৭ লাখ টাকা ভাড়া গুনতে হয়। শিক্ষা বোর্ডে নিজস্ব ভবন থাকলে বছরে কোটি টাকা ভাড়া বেঁচে যেত সরকারের।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. শহিদুল্লাহ যোগদান করেছেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে। তিনি সমকালকে জানান, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ভবন তৈরির জন্য চারটি জমি প্রাথমিকভাবে দেখা হয়েছে। এরমধ্যে রহমতপুর বাইপাস এলাকায় ১.৯৫ একরের একটি জমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ময়মনসিংহের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে ভিজিট করা হয়েছে।
পরে প্রতি ফ্লোরে ১০ হাজার স্কয়ার ফিটের ১০ তলা ভবনের চাহিদা দিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আট বছরে কেন নিজস্ব ভবন হয়নি শিক্ষা বোর্ডের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি এ বছরই বোর্ডে যোগদান করেছি। আগে জমি কেনা ও ভবনের কাজ কেন হয়নি তা আগের চেয়ারম্যানরা বলতে পারবেন।
সরেজমিন দেখা যায়, ভবনে ১ ও ২ এ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা পরীক্ষার খাতা ও আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র নিতে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা এই ভবন থেকে ওই ভবনে বারবার যাতায়াত করছেন। দুই ভবনের দূরত্ব ২ কিলোমিটার এবং গোডাউন গুলো আরও দূরত্বে অবস্থিত হওয়ায় এগুলো সংগ্রহ করতে তাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, দুই ভবন ও গোডাউনে দৌড়ঝাঁপ করে তাদের কাজের গতি কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থায়ী বিল্ডিং জরুরী হয়ে পড়েছে। এছাড়া তাদেরকে অফিসের কাজ সামলে বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে হয়।
এসব সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন অরাজক পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর ড. দিদারুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ভিন্ন ভিন্ন ভবনে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছেন তারা।
জানা যায়, প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে আইটি শাখার কাজ স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে করতে পারছে না ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। এক্ষেত্রে ফলাফল তৈরি ও রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের সহায়তা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে তাদের।
বোর্ড চেয়ারম্যান আরও জানান, আমরা চেয়েছিলাম এই পরিস্থিতিতে মূল দুটি ভবনকে একীভূত করতে। ভবন এক ছেড়ে দিয়ে ভবন ২ এর কাছাকাছি একটি বাড়ি ভাড়া নিতে পারলে বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ও সেবা গ্রহীতাদের অনেকটা হয়রানি মুক্ত করা যেত। কিন্তু এক্ষেত্রে এক নম্বর ভবনের থাকা আইটি শাখাকে ট্রান্সফার করে নতুন ভবনে নিয়ে যেতে অনেক টাকা খরচ হবে। এতে সরকার ব্যাপক পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এই চিন্তা করে নতুন কোন বাড়িভাড়াও নিতে পারছি না।
জানা যায়, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে সরকারিভাবে বরাদ্দ একটিমাত্র গাড়ি বোর্ড চেয়ারম্যান ব্যবহার করছেন। বৃহৎ পরিসরে পরিচালিত শিক্ষা বোর্ডের জন্য আরও দুইটি গাড়ি সরকারের কাছে চাওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ময়মনসিংহ থেকে কর্মকর্তারা নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর গেলে ভাড়া করা গাড়িতে তাদের যেতে হয়।
তাছাড়া একটি ভবন থেকে আরেকটি ভবনে কর্মকর্তাদের যাতায়াতের জন্য পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
নিজস্ব ভবন ও পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে সমকালের সাথে কথা হয় বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর সৈয়দ আখতারুজ্জামানের সাথে। তিনি জানান, ইতিপূর্বে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষা বোর্ডকে ৩ একর জায়গা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সাবেক বোর্ড চেয়ারম্যান অতিরিক্ত অহংকার করে এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বর্তমানে জমি কিনে নিজস্ব ভবন তৈরি করার মত পর্যাপ্ত টাকা বোর্ডের হাতে নেই।
তবে বর্তমান চেয়ারম্যান নিজস্ব জমি ও ভবন তৈরি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সরকারের কাছে প্রকল্পের মাধ্যমে জমি কিনে ভবন তৈরি করে দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত সময়ের ভিতরেই নিজস্ব ভবনে শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম চালাতে পারব বলে আশা করছি।
চলতি বছরের ১৫ মার্চ ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের জমি কেনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সাইট ভিজিটে যান ময়মনসিংহ শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তিনি জানান, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। নগরের বাইপাস মোড়ে ১.৯৫ একর জমি কেনার জন্য তারা আমাদেরকে চিঠি দেয়। সে অনুযায়ী জমি পরিদর্শন করে ২৩ মার্চ প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আমি একটি রিপোর্ট পাঠাই।
এখন শিক্ষা প্রকৌশল এবং ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেই জমি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।