দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে এবং অন্যান্য কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অভ্যুত্থান বা অস্থিতিশীলতার অভিযোগে ভিত্তিহীন গল্পের ধারাবাহিকতা কেবল ভিত্তিহীনই নয় বরং গভীরভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীনও। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা হস্তক্ষেপ না করার নীতিগুলোকে ক্ষুণ্ন করে এবং একই সঙ্গে জড়িত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাও নষ্ট করে।

বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব কথা জানিয়েছে।

প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তার সশস্ত্র বাহিনী, যারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা, জনগণ এবং সংবিধান রক্ষার জন্য পেশাদারিত্ব এবং প্রতিশ্রুতি ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শন করেছে। এই চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনগুলো, যা সম্পূর্ণরূপে তথ্যপ্রমাণবিহীন, এমন একটি এজেন্ডা দ্বারা চালিত বলে মনে হয় যা সত্যের চেয়ে অনুমানকে অগ্রাধিকার দেয়, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

আরো পড়ুন:

জাতিসংঘ টিমের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের ঘটনা পুরোনো ভিডিও: বাংলা ফ্যাক্ট

বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের ইফতার অনুষ্ঠিত

এই ধরনের বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে, এই সংবাদমাধ্যমগুলো কেবল সাংবাদিকতার অখণ্ডতাকেই বিপন্ন করে না বরং দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকিও তৈরি করে। গণমাধ্যম সংস্থাগুলোর জন্য নীতিগত সাংবাদিকতা মেনে চলা, তথ্য যাচাই করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করে এমন অযাচাইকৃত দাবি প্রচার করা থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরি।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ