দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে এবং অন্যান্য কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অভ্যুত্থান বা অস্থিতিশীলতার অভিযোগে ভিত্তিহীন গল্পের ধারাবাহিকতা কেবল ভিত্তিহীনই নয় বরং গভীরভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীনও। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা হস্তক্ষেপ না করার নীতিগুলোকে ক্ষুণ্ন করে এবং একই সঙ্গে জড়িত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাও নষ্ট করে।

বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব কথা জানিয়েছে।

প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তার সশস্ত্র বাহিনী, যারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা, জনগণ এবং সংবিধান রক্ষার জন্য পেশাদারিত্ব এবং প্রতিশ্রুতি ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শন করেছে। এই চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনগুলো, যা সম্পূর্ণরূপে তথ্যপ্রমাণবিহীন, এমন একটি এজেন্ডা দ্বারা চালিত বলে মনে হয় যা সত্যের চেয়ে অনুমানকে অগ্রাধিকার দেয়, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

আরো পড়ুন:

জাতিসংঘ টিমের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের ঘটনা পুরোনো ভিডিও: বাংলা ফ্যাক্ট

বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের ইফতার অনুষ্ঠিত

এই ধরনের বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে, এই সংবাদমাধ্যমগুলো কেবল সাংবাদিকতার অখণ্ডতাকেই বিপন্ন করে না বরং দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকিও তৈরি করে। গণমাধ্যম সংস্থাগুলোর জন্য নীতিগত সাংবাদিকতা মেনে চলা, তথ্য যাচাই করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করে এমন অযাচাইকৃত দাবি প্রচার করা থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরি।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ