জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর বলেছেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার সাথে আমার বিন্দুমাত্র কোনো সম্পর্ক নেই। সবকিছু সাচিবিক প্রক্রিয়ার করা হয়েছে। তিলকে তাল বানানো হয়েছে। ১০০ কোটি টাকার কাগজ কেনা হয়েছে, অথচ বলা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এটা হাস্যকর।’’

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। 
 
সালাউদ্দিন তানভীর বলেন, ‘‘এনসিটিবিতে প্রতি বছর প্রায় ৪০ কোটি বই ছাপানো হয়। এর আগে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তাদের দোসর বন্ধু রাষ্ট্র থেকে খুবই নিম্নমানের বই ছাপিয়ে নিয়ে আসতো। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার আসার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, বাংলাদেশেই উন্নত মানের কাগজে বই ছাপানো হবে। যখন এটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ছিল; এ সময়ে কিছু কাজ করার সুযোগ হয়েছিল আমাদের। তখন যে সমস্ত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়েছিল, সেই সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়ি।’’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘‘৫ আগস্টের পর জনআকাঙ্ক্ষার দল জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনৈতিক বন্দোবস্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ অভিযোগ। আমি নাগরিক পার্টির একজন দায়িত্বশীল হিসেবে আমার দ্বারা এ ধরনের কোনো একটা কার্য সম্পাদন হবে, এটা হতেই পারে না। যখনকার অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে, তখন আমাদের দল গঠনই হয়নি।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগতভাবে স্পষ্ট করতে চাই, আমিও মানহানির মামলা করেছি, বাংলাদেশের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাও এ ব্যাপারে জানেন যে কীভাবে কী হয়েছে। কীভাবে সিন্ডিকেটের হাত থেকে পাঠ্যপুস্তক উদ্ধার করে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সবাই যেহেতু জানে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকেও বলবো। আপনার আপনাদের জায়গা থেকে প্রতিবেদন দেবেন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার বিরুদ্ধে যদি এক পয়সারও লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি নিজের ইচ্ছায় এনসিপি থেকে পদত্যাগ করবো। আইন অনুযায়ী শাস্তি মাথা পেতে নেব।’’

এদিকে, ভুয়া ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে সুনাম ক্ষুণ্ণের অভিযোগ এনে সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকারসহ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন গাজী সালাউদ্দিন তানভীর।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী রবিবার আদেশের দিন রেখেছেন।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৪০০ ক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ