চীনের কিংদাওয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য ‘হায়ার সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন গ্লোবাল কমেন্ডেশন সম্মেলন’। এ বছর এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল-বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেবা, সবাইকে উষ্ণ স্বাগতম।

প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে হায়ার তার দেশীয় ডিজিটাল পরিষেবা অভিজ্ঞতার বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণকে তুলে ধরে। পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশীয় সরঞ্জামের বিশ্বায়ন এবং একীভূত পরিষেবা মান সম্পর্কেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জানায় এই সম্মেলনের মাধ্যমে।

হায়ার বৈশ্বিক রিসোর্সকে সংযুক্ত করে এবং ‘তিনটি একীকরণ’ পদ্ধতি চালু করে। এর মধ্যে রয়েছে-একক সেবা মান, একক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা এবং একক মূল্যায়ন পদ্ধতি। যা নিশ্চিত করে, দেশ ও বিদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য একই উচ্চমানের হোম অ্যাপ্লায়েন্স সেবা।

হায়ার স্মার্ট হোমের বৈশ্বিক সেবা নেটওয়ার্ক এখন ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে বিস্তৃত, যেখানে ১৪ হাজারেরও বেশি সেবা কেন্দ্র এবং ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি প্রকৌশলী রয়েছে, যারা কার্যকর, স্বচ্ছ এবং পেশাদার সেবা প্রদান করছে।

এই সম্মেলন হায়ারের বৈশ্বিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স সেবায় আরো একটি সাফল্য নির্দেশ করে, প্রমাণ করে যে হায়ার উচ্চ-গুণমানের পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি অসাধারণ সেবার মাধ্যমে বৈশ্বিক ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস অর্জন করে।

বিশ্বমানের সেবা অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিতে সম্মেলনে হায়ার কয়েকটি পুরস্কার ঘোষণা করে। যার মধ্যে রয়েছে-সেবা অংশীদারদের জন্য “গ্লোবাল লিডিং ওয়ার্ড-অফ-মাউথ অ্যাওয়ার্ড” এবং প্রকৌশলীদের জন্য “গ্লোবাল টেকনিক্যাল এক্সেলেন্স স্টার অ্যাওয়ার্ড”।

হায়ার বাংলাদেশ সামিটে অংশ নেয়। এতে হায়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম গ্রাহক সহায়তায় নিষ্ঠার জন্য এবং তার সিনসিয়ার ফরএভার বা আন্তরিক চিরকাল দর্শনের জন্য “গ্লোবাল টেকনিক্যাল এক্সেলেন্স স্টার” পুরস্কারে ভূষিত হন।

পুরষ্কার বিজয়ের অনুভূতি প্রকাশের জন্য সিরাজুল ইসলাম একটি স্পর্শকাতর গল্প তুলে ধরেন। যা সংকটকালে হায়ারের সর্বোচ্চ সেবাদানের প্রতিশ্রুতি ফুটিয়ে তুলে। গত বছরের জুলাই-আগষ্টের অস্থিতিশীল সময়ে যখন সামাজিক সংকট চলছিল, মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হয়, দোকানপাট-পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়, তখনও হায়ার বাংলাদেশ দল গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। সিরাজুল ইসলাম ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। তার গল্প শ্রোতাদের গভীরভাবে স্পর্শ করে এবং বিশ্বব্যাপী প্রকৌশলীদের সিনসিয়ার ফরএভার বা আন্তরিক চিরকাল দর্শন রক্ষার জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। এই অভিজ্ঞতা বিনিময় অন্যদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাধ্যমে হায়ার বাংলাদেশের সেবা কার্যক্রমের উন্নয়নে সহায়তা করে।

হায়ার সেবা স্থানীয়করণ এবং ডিজিটাল রূপান্তরকে এগিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশে হায়ার ‘থ্রি ট্রিপল’ সেবা কৌশল বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে-ব্যবহারকারীদের জন্য ‘ট্রিপল সন্তুষ্টি’ (গ্রাহক সন্তুষ্টি, বিক্রয় অংশীদার সন্তুষ্টি, সেবা অংশীদার সন্তুষ্টি); সেবা অংশীদারদের জন্য ‘ট্রিপল ফাস্ট’ (দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্ট, দ্রুত সেবা, দ্রুত পেমেন্ট); প্রকৌশলীদের জন্য ‘ট্রিপল হাই’ (উচ্চ সক্ষমতা, উচ্চ দক্ষতা, উচ্চ আকর্ষণীয়তা)। কৌশলগুলো কেবল সেবা প্রদানকারীদের এবং প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধিই করে না বরং ব্যবহারকারীদের দ্রুত এবং আরও পেশাদার সেবা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

হায়ার বাংলাদেশ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে তার সেবা দলের পেশাদার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে, যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় নিবেদিত সেবা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, গ্রাহক সেবা হটলাইন (১৬৬৭৮), টোল-ফ্রি নম্বর (০৮০০০-০১৬৬৭৮), ইঞ্জিনিয়ার মোবাইল অ্যাপ এবং উন্নত দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও, বৈশ্বিকভাবে শীর্ষ জিসিসি ডিজিটাল সেবা প্ল্যাটফর্মের পরিচিতি হায়ার বাংলাদেশের সেবা সক্ষমতায় উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, হায়ার বাংলাদেশ তার ‘সিনসিয়ার ফরএভার’ দর্শনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ করে হোম এপ্লায়েন্স শিল্পে নতুন মানদণ্ড নিশ্চিত করতে সেবার অভিজ্ঞতাগুলো প্রতিনিয়ত উন্নত করে চলেছে।

ঢাকা/হাসান/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ