বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন। এ সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর অ্যানটন চেরনোভ উপস্থিত ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। তাঁরা পরস্পর কুশল বিনিময় করেন।

বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো.

তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে বাংলাদেশে বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতি রাশিয়ার দৃঢ় সমর্থন থাকবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রাশিয়ার বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলেও তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।’

বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং জামায়াতের আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ