Prothomalo:
2025-11-03@20:16:38 GMT

ট্রুডোর বিদায়, কার্নির শপথ

Published: 13th, March 2025 GMT

কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদায় নিচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো। আগামীকাল শুক্রবার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নি। গত বুধবার দেশটির গভর্নর জেনারেলের অফিস সূত্র জানায়, কার্নির সঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও কাল শপথ নেবেন।

কানাডায় গত রোববার সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই করা হয়। এতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। গত সোমবার অটোয়ায় ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তর নির্বিঘ্ন ও দ্রুত হবে।

মার্ক কার্নি অর্থনীতিবিদ, কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান। তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। পেশায় অর্থনীতিবিদ–ব্যাংকার কার্নি এমন একসময় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে।

৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। জনমত জরিপে দলের বাজে অবস্থা উঠে আসার পর দায়িত্ব ছাড়তে চাপে ছিলেন তিনি। তুলনামূলক কম বয়সে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাক লাগিয়ে দেন। গড়ে তোলেন লিঙ্গসমতাভিত্তিক মন্ত্রিসভা। নিজেকে পরিচিত করে তোলেন একজন নারীবাদী, পরিবেশবাদী এবং শরণার্থী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকারকর্মী হিসেবে। তবে জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমছিল তাঁর। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রুডোর ক্ষমতা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। পদত্যাগের জন্য বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের মধ্য থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে ট্রুডোর ওপর।

একই সঙ্গে কার্নির ভাবমূর্তি বাড়তে থাকে। দলীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে কার্নি বলেন, এখন কানাডার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার আত্মবিশ্বাস দেখান। তিনি বলেন, ‘আমেরিকানদের কোনো ভুল করা উচিত নয়, হকির মতো বাণিজ্যেও কানাডা জিতবে।’ গত বুধবার কার্নি বলেন,অর্থনৈতিক টানাপোড়েন এড়াতে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ