জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আত্মপ্রকাশ
Published: 13th, March 2025 GMT
জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
নবগঠিত কমিটিতে ইউনিটার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সজীবকে আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর সফিউল্লাহকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া মুখপাত্র হিসেবে আছেন চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম।
আরো পড়ুন:
বিপ্লবী নারী পরিষদের আত্মপ্রকাশ
চবির ভর্তি পরীক্ষায় ২ জুলাই-বিপ্লবীকে নিয়ে প্রশ্ন
সংগঠন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সংগঠন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এর মূল লক্ষ্য শহীদ ও আহতদের নিয়ে গবেষণা, প্রকাশনা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা, তাদের পরিবারের যৌক্তিক দাবিতে তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রাখা।
সংগঠনটির কাঠামোতে থাকবে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ। যার দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হবে সংগঠনের সব কার্যক্রম। বিশেষভাবে, শহীদ ও আহতদের পরিবারের মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংগঠনটি তার কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (বিআরএফ) নির্বাহী পরিচালক, গবেষক ও লেখক ড.
ইতোমধ্যে সংগঠনটি শহীদদের নিয়ে প্রামাণ্য সংকলন গ্রন্থ ‘শহীদদের শেষ মুহূর্তগুলো’ (১ম খণ্ড) প্রকাশ করেছে। বইটিতে ২৬ জন শহীদের শেষ মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠনটির মুখপাত্র সৈয়দ আহমেদ সিয়াম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের যাত্রা শুরু হলো। অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে এবং শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে করবেন।”
সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়- হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠ, পল্লবী মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন, মিরপুর ১২, ঢাকা ১২১৬, বাংলাদেশ।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন স গঠনট র পর চ ল স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল হক খান
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাস’র এনামুল হক খান। সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য তিনি দায়িত্ব পালন করবেন ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪(১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচনযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজুসের ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের একজন সিনিয়র সহ-সহভাপতি, ৩ জন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে। এদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এখন থেকে আর কেউ থাকবেন না। ফলে সাধারণ সম্পদ পদে কেউ নির্বাচিত হননি। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সাধারণ সম্পদ পদ বিলুপ্ত করা হলো।
বাজুসের নবনির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, আমরা সোনার ব্যবসা করি। মানুষকে বোঝাতে হবে ব্যবসায়ীরা কিন্তু চোরাকারবারী না। একটি আলোর পথ অন্যটি অন্ধকার পথ। আমরা আলোর পথে আছি। যারা চোরাকারবারী করে তারা কোনোদিন সোনা ব্যবসায় আসবে না। আর যারা সোনা ব্যবসা করে তারা কোনোদিন চোরাকারবারীতে জড়াবে না।
তিনি বলেন, আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এতো কঠিন প্রক্রিয়া যে, এই কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না। আর এজন্য যতদিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, ততোদিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসতো, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ভ্যাট ৫ শতাংশ অথচ আমাদের পাশের দেশে ভ্যাট অনেক কম। আমরা ভ্যাট কমানোর জন্য কাজ করবো।
বাজুসের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্স (প্রা.) এর রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি পদে আপন ডায়মন্ড হাউজের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স’র অমিত ঘোষ।
বাজুসের পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগোওরালা, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবুল দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিনাজুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহমেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।
ঢাকা/নাজমুল/ফিরোজ