ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা ও তার চাচাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার পর অ্যাসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, অপহরণসহ বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আসামিরা হলেন- উপজেলার ২ নম্বর পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ঝোড়খালী এলাকার মাহাবুব মল্লিকের ছেলে রাজ মল্লিক (১৯), সালাম মল্লিকের ছেলে সিফাত মল্লিক (২২) এবং মোস্তফা মল্লিকের ছেলে আরিফ মল্লিক (২১)।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, ওই স্কুলছাত্রী এ বছর আমুয়া বন্দর আমির মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিবে। তাকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে রাজ মল্লিক নামের এক যুবক আটকিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ বিষয়টি মেয়েটি বাড়িতে এসে তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের লোকজন ওই যুবককে এমন কর্মকাণ্ড করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীকে অপহরণ করার হুমকি দিতে থাকে রাজ মল্লিক।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে মেয়েটি প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। আমুয়া ঝোড়খালী সড়কের নুতন বাজার জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় আসামিরা তার মেয়ের পথ রোধ করেন। এ সময় শ্লীলতাহানির একপর্যায়ে মেয়েটির গায়ের ওড়না ছিড়ে ফেলে। সেখান থেকে মেয়েটি দৌড়ে বাড়ি এসে ঘটনা তাকে (বাদী) জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে আসামিদের শাসান। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বাদীকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় ওই ছাত্রী বাবাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়।

তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মং চেনলা বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ