নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চকলেটের লোভ দেখিয়ে সাত বছর বয়সী একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিম মিয়া (৫৫) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুকে চকলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ইব্রাহীম তার দোকানের ভেতরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি এক নারী দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানান। পরে এলাকাবাসী অভিযুক্ত ইব্রাহিম মিয়ার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ইব্রাহিম পালিয়ে যান।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’

আরো পড়ুন:

এবার সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, রবিবারের মধ্যে সংশোধিত অধ্যাদেশ

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিম মিয়ার বাড়িওয়ালা তানসেন, রুবেলসহ স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, ‘‘কিছু ঘটনা মীমাংসাযোগ্য নয়। তার মধ্যে, ধর্ষণের ঘটনা অন্যতম। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি মীমাংসার চেষ্টাকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তানোরে চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব টাকা চুরির অভিযোগে আরজেদ আলী ওরফে কুরহান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার জোড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুরহানের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই কুরহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। টাকা উদ্ধারের পর বুধবার বিকেলে কুরহানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী নগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার বাসিন্দা মাবিয়া খাতুন জমি বিক্রি করতে গত সোমবার তানোর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সঙ্গে ছিল জমি বিক্রির ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অফিসে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মাবিয়া খাতুন তার টাকার ব্যাগটি চেয়ারের পাশে রাখেন। এ সুযোগে কৌশলে ব্যাগটি নিয়ে সটকে পড়ে কুরহান।

মোবাইল ফোনে কথোপকথন শেষে ব্যাগটি না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন মাবিয়া খাতুন। এতে পুরো অফিসজুড়ে হইচই পড়ে যায়। পরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘটনার দিনই মাবিয়া খাতুন তানোর থানায় অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে চোর শনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতেই কুরহানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশকে কুরহান জানিয়েছেন, ব্যাগটি চুরি করে কাউকে কিছু না বলে তিনি বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে তা পুঁতে রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টাকা খরচের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে, এত দ্রুত ধরা পড়বেন, সেটা ভাবেননি।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, কুরহান চুরির কথা স্বীকার করলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পেছনের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ব্যাগভর্তি টাকা। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই টাকা মালিক মাবিয়া খাতুনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ